ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতা, তৈরির নিয়ম এবং খাওয়ানোর নিয়ম

ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গরু খামারীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কেননা দিন দিন যে হারে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বল্পমূল্যের এই খাবারটি যদি না আবিস্কৃত হতো তাহলে বাংলাদেশে মাংসের দাম আরও উর্ধ্বমূখী থাকতো। খামারীদের স্বল্প খরচে গো-খাদ্য সহজ প্রস্তুত করতে ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির নিয়ম এবং খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত রচিত হয়েছে এই আর্টিকেলে।
ইউরিয়া-মোলাসেস-এর-উপকারিতা
খড়কে ইউরিয়া ও চিটাগুড় দ্বারা গো-খাদ্যে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকেই ইউরিয়া মোলাসেস বা ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বলে। অতি অল্প খরচে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে ইউরিয়া ও চিটাগুড় মিশ্রিত খড় খাইয়ে গরুকে মোটাতাজা করা যায়। গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে গো-খাদ্যে ইউরিয়ার ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ও আধুনিক পন্থা।

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র কি?

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র হচ্ছে ইউরিয়া, মোলাসেস (চিটাগুড়) এবং স্ট্র (খড়) এর মিশ্রণে তৈরী একটি খাবার যা গরুকে প্রতিদিন শুকনা খড়ের পরিবর্তে চাহিদা মত খাওয়ানো হয়। খাদ্যটিতে খড়, ইউরিয়া ও চিটাগুড় এর অনুপাত যথাক্রমে ৮২ঃ৩ঃ১৫। বাংলাদেশ পশুসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাভার, ঢাকা ১৯৯২ সাল থেকে দীর্ঘ গবেষণা ও কৃষক পর্যায়ে যাচাই করে দেশে প্রাপ্ত খড়, ইউরিয়া ও চিটাগুড়ের মিশ্রণে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র (ইউএমএস) গো-খাদ্য প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করে। বর্তমানে ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সব খামারীই অবগত।

ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির নিয়ম

ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরীর প্রথম শর্ত হল এর উপাদানগুলির অনুপাত সর্বদা সঠিক রাখতে হবে অর্থাৎ ১০০ ভাগ ইউএমএস এর শুষ্ক পদার্থের মধ্য ৮২ ভাগ খড়, ১৫ ভাগ মোলাসেস এবং ৩ ভাগ ইউরিয়া থাকতে হবে। তবে খড় ভিজা বা মোলাসেস পাতলা হলে উভয়ের পরিমাণই বাড়িয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির নিয়ম সম্পর্কে অবগত না হয়ে ইচ্ছানুযায়ী প্রস্তুত করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র প্রস্তুতে বিভিন্ন উপাদানের আনুপাতিক হার নিচে উপস্থাপন করা হলো:
প্রচলিত শুকনা খড় (কেজি)পানি (লিটার)মোলাসেস (কেজি)ইউরিয়া (কেজি)
২.৫০-৩.৫০১.০৫-১.২০০.১৫
১০৫.০০-৭.০০২.১০-২.৪০০.৩০
২০১০.০০-১৪.০০৪.২০-৪.৮০০.৬০
৫০২৫.০০-৩৫.০০১০.৫০-১২.০০১.৫০
১০০৫০.০০-৬০.০০২১.০০-২৪.০০৩.০০
নিচে ইউরিয়া মোলাসেস তৈরীর নিয়ম আলোচনা করা হলো:
  • প্রথমে খড়, মোলাসেস ও ইউরিয়া পরিমাণমত মেপে নিতে হবে।
  • মোলাসেস ও ইউরিয়া ওজনের পর পরিমাণমত মত পরিস্কার পানিতে এমন ঘনত্বে মিশাতে হবে যাতে সম্পূর্ণ দ্রবণটুকু খড়ের সাথে মিশানো যায়। পানি বেশি হলে দ্রবণটুকু খড় চুষে নিতে পারে না আবার কম হলে খড়ের সাথে সম্পূর্ণরূপে মিশানো যায় না।
  • শুকনো খড়কে পলিথিন বিছানো বা পাকা মেঝেতে সমভাবে বিছিয়ে ইউরিয়া মোলাসেস দ্রবণটি আস্তে আস্তে স্প্রেয়ার বা হাত দিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। খড়কে উল্টিয়ে অনুরূপভাবে আবার ছিটিয়ে দিয়ে খড়ের সাথে দ্রবণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  • এছাড়াও অন্যভাবে ইউএমএস তৈরী করা যায়। এ পদ্ধতিতে একটি পাত্রে ওজন করা মোলাসেস ও ইউরিয়াতে পরিমাণ মত পানি দিয়ে দ্রবণ তৈরী করে নিতে হবে। দ্রবণটিতে উপরোল্লিখিত ছকের হিসাব মোতাবেক ওজন করা খড় এমনভাবে ভিজাতে হবে যেন পুরো দ্রবণটি চুষে নেয়।
  • ১০ কেজি ইউরিয়া মোলাসেস তৈরীর পদ্ধতি
  • প্রথমে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খড়, চিটাগুড় ও ইউরিয়া মেপে নিতে হবে।
  • ১০ কেজি ইউরিয়া মিশ্রিত খড় তৈরীর জন্য ২ কেজি চিটাগুড়, ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ৫-৭ লিটার চাপ কলের পানি প্রয়োজন।
  • ১০ কেজি শুকনা খড় ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা করে কেটে নিয়ে পলিথিন বিছানো বা পাকা মেঝেতে সমভাবে বিছিয়ে নিতে হবে।
  • তারপর নির্দিষ্ট পরিমাণ ইউরিয়া, চিটাগুড় ও পানি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  • ইউরিয়া ও চিটাগুড় মিশ্রিত পানি মেঝেতে বিছিয়ে রাখা খড়গুলোতে ভালোভাবে উল্টিয়ে-পাল্টিয়ে স্প্রেয়ারের সাহায্যে ছিটিয়ে দিতে হবে যেন খড়গুলো সম্পূর্ণ মিশ্র্রণটিকে সমভাবে শোষে নেয়।
  • ওজন করা সম্পূর্ণ খড়ের সাথে ইউরিয়া মোলাসেস মিশ্রিত পানি মিশে গেলেই ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র তৈরী হয়ে যাবে এবং গরুকে এই প্রক্রিয়াজাত খড় খাওয়ানোর উপযোগী হবে।

ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানোর নিয়ম

ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতার শতভাগ ফল পেতে নিম্নোক্ত নিয়মে চমকপ্রদ এই গো-খাদ্যটি খাওয়াতে হবে:
  • তৈরীকৃত ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র যেকোনো বয়সের গরুকে যত ইচ্ছা খাওয়ানো যায়।
  • সবুজ ঘাস ডাল (লিগুম) বা অডাল (নন লিগুম) জাতীয় অথবা চাষ করা উন্নত বা দেশীয় জাতের যে কোন ধরনের ঘাসের সহিত ১০% পর্যন্ত মোলাসেস মিশিয়ে খাওয়ালে গরুর উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
  • যে কোন ধরনের সবুজ ঘাস বা ভুট্টার ফল সংগ্রহের পর সংরক্ষণ করার জন্য ৩-৫% মোলাসেস প্রিজারভেটিভস্‌ হিসাবে ব্যবহার করা যায়। উক্ত পরিমাণ মোলাসেস দিয়ে মাটির গর্তেও সাইলেজ পদ্ধতিতে সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করা যায়।
  • দানাদার খাদ্যের পিলেট তৈরী করার জন্য ৪-৫% মোলাসেস ব্যবহার করা যায়।

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানো হয় কেন

গরুকে ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানোর প্রধান কারণ হলো গরুর শরীরে দ্রুত মাংস বা চর্বি বাড়ানো।আমাদের দেশে পশু খাদ্যে আমিষের পরিমাণ খুব কম, কিন্তু পশুর দ্রুত বৃদ্ধিতে আমিষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। পশুকে যে খড় আমরা খাওয়াই তাতে খুব সামান্য পরিমাণ আমিষ আছে। পক্ষান্তরে ইউরিয়া সারে ২৪৫% আমিষ আছে। স্বল্প মূল্যের খড়ে উচ্চ ক্ষমতাপূর্ণ আমিষ মিশিয়ে পশুখাদ্যে আমিষের পরিমাণ অনেকাংশে বাড়ানো যায়।
এ ধরনের খড় খেলে খুব দ্রুত পশুর শরীর বৃদ্ধি পায়। তাই গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পে পশুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানো অত্যাবশ্যক। বি এল আর আই গবেষণায় দেখা গেছে বাড়ন্ত ষাঁড়কে ইউ এম এস যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়ালে এবং পশুর দৈহিক ওজনের শতকরা ০.০৮ থেকে ১.০ ভাগ দানাদার মিশ্রণ সংগ্রহ করলে দৈনিক সাতশ থেকে ৯০০ গ্রাম দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পায়।

ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতা

খামারীদের গো-খাদ্য খরচ কমাতে ইউরিয়া মোলাসেস এর জুড়ি নেই। এছাড়াও প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাদ্যটি গবাদি পশুর জন্য খুবই উপকারী। নিচে ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতাগুলো সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করা হলো:
  • ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র বাছুর, বাড়ন্ত, দুগ্ধভর্তি ও গর্ভবতী গরু অথবা মহিষকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাওয়ানো যায়।
  • শুধু ইউএমএস খাওয়ালেও গরুর ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • ইউ এম এস তৈরির পদ্ধতি সহজ। একজন শ্রমিক অনায়াসে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি খড় বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে তৈরি করতে পারেন। খড়ের দাম বাদ দিয়ে ইউরিয়া মোলাসেস ও শ্রমিক খরচ বাবদ কেজি প্রতি ইউএমএস এর খরচ পড়ে ০.৬৫ থেকে ০.৭৫ টাকা। মোলাসেস ও শ্রমিকের উপর এই খরচ নির্ভর করবে।
  • গবেষণায় দেখা গেছে যে, এ পদ্ধতিতে খড়ের সঙ্গে এক টাকার মোলাসেস খাইয়ে প্রায় পাঁচ থেকে সাত টাকা মূল্যের গরুর মাংস উৎপাদন সম্ভব।
  • ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক চেটে খাওয়ালে প্রাণীর যে উপকার হয় তা ইউ এম এস দ্বারাই সম্ভব। উপরন্ত খামারী কম মূল্যে নিজের বাড়িতেই ইউ এম এস তৈরি করতে পারেন।
  • যেহেতু ইউরিয়া ও মোলাসেস খড়ের সাথে ধীরে ধীরে খাচ্ছে অতএব বিষক্রিয়া হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।
  • সকল বয়সের গরু ও মহিষ ইচ্ছে মতো এ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে।
  • গর্ভবতী পশুও এই খাদ্য খেতে পারে।
  • খামারি তার দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী খড় প্রস্তুত করে প্রতিদিন খাওয়াতে পারেন।

ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক তৈরির নিয়ম

ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক তৈরির নিয়ম নিচের ছকে শতকরা হারে উপস্থাপন করা হলো:
উপাদানপরিমাণ
মোলাসেস (চিটাগুড়)৫০-৬০ ভাগ
গমের ভূষি২৫-২৬ ভাগ
ইউরিয়া০৮-০৯ ভাগ

পাথরী চুন

০৫-০৬ ভাগ
নিচে দশ কেজি পরিমাণ মোলাসেস ব্লক তৈরির পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
  • পাঁচ থেকে ছয় কেজি পরিমাণ মোলাসেস বা চিটাগোর একটা ড্রামে/লোহার কড়াইয়ে নিয়ে চুলায় দিয়ে তাপ দিতে হবে। ২.৫ থেকে ৩.০ কেজি পরিমাণ ভুসি কড়াইতে নিতে হবে এবং নাড়নী দিয়ে চিটাগুড়ের সঙ্গে মেশাতে হবে।
  • এবার ৩৫ গ্রাম লবণ এবং যেকোনো ডিবি ভিটামিন (যেমন- ডিবি-ভিট) ১০০ গ্রাম মেপে নিয়ে কড়াইতে দিতে হবে। 
  • এবার ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইউরিয়া আলাদাভাবে মেপে নিতে হবে
  • ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পাথরে চুন ওজন করে মোলাসেস তৈরি করার পূর্বের দিনে সামান্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
  • ওজনকৃত চুন, ইউরিয়া, লবন ও ভিটামিন ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং কড়াইয়ে ছেড়ে দিতে হবে। 
  • এবার কড়াইটি চুলা থেকে নামিয়ে নাড়ানি দিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করুন যতক্ষণ পর্যন্ত চিটাগুড়ের আঠা আঠা জমাট ভাব না আসে। 
  • চিটাগুড়, ভুষি, চুন, ইউরিয়া, খনিজলবন ও ভিটামিন মিশ্রিত মিশ্রন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ছাঁচের আকার ও ধারণ ক্ষমতার ব্লক তৈরী করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ০১ কেজি ওজনের ব্লক সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। 
  • মিশ্রণটি নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালার পর ছাঁচের মাপ অনুযায়ী ঢাকনা দিয়ে চাপ দিতে হবে যেন মিশ্রণটি শক্ত জমাট বেঁধে ছাঁচের আকারের মতএকটি ব্লকে পরিণত হয়। 
  • সাবধানতার সহিত ছাঁচটি ব্লক থেকে তুলে নিতে হবে এবং ৩০ মিনিটের মত বাহিরে রেখে দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে ব্লকটি শক্ত হয়ে যায়।
  • যদি এক সাথে অধিক পরিমাণ তৈরী করা হয় তবে পলিথিন দিয়ে ব্লকগুলো মোড়কীকরণ করা বাঞ্চনীয়। এতে ব্লকের গায়ে ধুলাবালি লাগার সম্ভাবনা থাকে না এবং অনেক দিনের জন্য সংরক্ষণে সহায়তা করে। 

ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক খাওয়ানোর নিয়মাবলী

  • প্রতিদিন গরুকে ২৫০-৩০০ গ্রাম ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক শুষ্ক অবস্থায় খাওয়াতে হবে। ব্লকটি গরু প্রথমদিকে খেতে না চাইলে ব্লকের উপর লবন বা ভুষি ছিটিয়ে দিতে হবে এবং যত্নসহকারে খাওয়াতে হবে।
  • ব্লক খাওয়ানোর পাশাপাশি গবাদী পশুকে অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার যেমন- খড়, তাজা ঘাস, দানাদার খাদ্য, পানি ইত্যাদি খাওয়ানো যায়।

লেখকের মন্তব্য

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন গো-খাদ্য ইউরিয়া মোলাসেস এর উপকারিতা অসীম। ইউরিয়া মোলাসেস তৈরির সময় অবশ্যই ইউরিয়া, মোলাসেস, খড় ও পানির অনুপাত ঠিক রাখতে হবে অন্যথায় এর পুষ্টিগুণ সঠিকভাবে কাজ করবে না। উল্লেখ থাকে যে, প্রস্তুতকৃত ইউরিয়া মোলাসেস তিন দিনের বেশি সময় সংরক্ষণ করা কিংবা গরুকে খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

গরু মোটাতাজাকরণ বা দুগ্ধজাত খামার ব্যবস্থাপনায় খামারী ভাইদের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে এই আর্টিকেলটি রচিত। তবুও নির্দেশনাগুলো কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের পূর্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর্টিকেলটিতে কোন প্রকার সংশোধন, সংযোজন কিংবা পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে আপনার সুচিন্তিত মতামত কমেন্টবক্সে পেশ করে অন্য খামারীদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।



তথ্যসূত্র: ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, অধ্যাপক, এনিমেল হাজবেন্ড্রী এণ্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক রচিত এবং নূর পাবলিকেশন্স, বাংলাবাজার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত “লাভজনক পশু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” বই থেকে নেওয়া। খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে বইটি আপনার সংরক্ষণে রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করেনি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।

comment url