ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম কী? স্পেল চেকার ও কপিরাইটিং বিশ্লেষণ
ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম জানা থাকলে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে চিত্রসহ বিশ্লেষন করা খুবই সহজ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ডিজিটাল বোর্ডে বা স্ক্রীন রেকর্ডিং এর মাধ্যমে অনলাইন কিংবা অফলাইনে পাঠদানের ক্ষেত্রে স্ক্রীনশট খুবই প্রয়োজনীয় একটি ফিচার।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে যেকোন তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে কিংবা তাৎক্ষনিক কাউকে কোনো তথ্য শেয়ার করতে স্ক্রীনশটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যদিও স্ক্রীনশটের অনেক উপকারিতা আছে সাথে কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে।
ভূমিকা
মোবাইলে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কম-বেশি সবারই জানা। কিছু কিছু মোবাইলে হয়তো ব্যতিক্রম থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ঐ মোবাইলের নাম ও মডেল নম্বর লিখে গুগল অথবা ইউটিউবে সার্চ করলে খুব সহজেই সমাধান পাওয়া যাবে। তবে ল্যাপটপ স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। সেই ভাবনা থেকেই ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার টেকনিক নিয়ে রচিত এই আর্টিকেলটি আশা করি রিডারদের জন্য সহায়ক হবে।
ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম
ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার আছে। এর মধ্যে বহুল ব্যবহৃত দুটি সফটওয়্যারের ব্যবহারবিধি নিচে উপস্থাপন করা হলো:
- Snipping Tool এবং
- Lightshot
Snipping Tool ব্যবহার করে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম
এই অ্যাপ্লিকেশনটি Windows 10 এর সাথে By Default দেওয়া থাকে এজন্য আলাদাভাবে এই সফটওয়্যারটি ইনস্টল করার কোনো ঝামেলা নেই। নিচে Snipping Tool এর মাধ্যমে ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম উপস্থাপন করা হলো:
- প্রথমে স্টার্ট মেনুবার থেকে Snipping Tool সফটওয়্যারটি ওপেন করতে হবে।
- তারপর Snipping Tool এর Mode অপশনে ক্লিক করে Rectangular Snip সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের স্ক্রীনে মাউস দিয়ে ড্রাগ করে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্ক্রীনশট নিতে হবে।
- স্ক্রীনশটটি নেওয়ার পর সম্পূর্ণ আলাদা একটি পেজ ওপেন হবে। সেখান বিভিন্ন ফিচার আছে যার সাহায্যে স্ক্রীনশট নেওয়া ছবিটি ইচ্ছানুযায়ী এডিট করা যাবে।
- এডিট শেষে File-এ গিয়ে Save করে নিলেই Snipping Tool এর সাহায্যে স্ক্রীনশট নেওয়ার কার্য সম্পন্ন হয়ে যাবে।
Lightshot ব্যবহার করে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম
Lightshot অধিক ফিচার সম্বলিত ছোট একটি সফটওয়্যার। সফটও্যারটি Lightshot লিখে যেকোনো ব্রাউজারে সার্চ দিলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফ্রিতে ডাউনলোড করা যাবে। ডাউনলোড শেষে ইনস্টল করে নিতে হবে। ডাউনলোড সম্পন্ন হয়ে গেলে সফটওয়্যারটি স্ক্রীনশট নেওয়ার উপযোগী হয়ে যাবে। নিচে Lightshot ব্যবহার করে ল্যাপটপে স্ক্রীনশট নেওয়ার নিয়ম উপস্থাপন করা হলো:
- কীবোর্ড থেকে Print Screen বাটনে চাপ দিয়ে মাউস পয়েন্টারের সাহায্যে প্রয়োজনীয় স্ক্রীন ড্রাগ করে সিলেক্ট করতে হবে। তারপর সিলেক্টকৃত অংশের পাশেই এডিট বা মডিফাই করার জন্য চমৎকার কিছু ফিচার আছে। ছবিটি এটিড করার জন্য ইচ্ছানুযায়ী ফিচারগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
- তারপর কীবোর্ড থেকে Ctrl + c একসাথে চাপ দিয়ে কপি করে নির্ধারিত স্থানে পেস্ট করলেই Lightshot এর মাধ্যমে স্ক্রীনশট নেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
উল্লেখ থাকে যে, Lightshot থেকে নেওয়া স্ক্রীনশট সরাসরি কোনো ফাইল ক্রিয়েট করে না। স্ক্রিনশটটি সেখানে পেস্ট করা হবে সেখানেই ফাইল ক্রিয়েট হয়ে যাবে। ছোট্ট এই সফটওয়্যারটির ব্যবহারবিধি খুবই সহজ এবং কাজের পরিধিও বিশাল।
স্পেল চেকার কী?
স্পেল চেক বা গ্রামাটিক্যাল এরর চেক হচ্ছে ব্যাকরণ ও বানানরীতি অনুসরণ পূর্বক কোনো আর্টিকেলের ভুল সংশোধনের একটি প্রক্রিয়া। আর যেসব অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই ভুল সংশোধনের কাজটি সম্পাদন করা হয় তাদেরকে বলা হয় স্পেল চেকার বা গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ব্লগারদের আর্টিকেল রাইটিং এর কাজকে সহজ করতে স্পেল চেকার বা গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার অ্যাপ্লিকেশনগুলো চমকপ্রদ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
স্পেল চেকার বা গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কনসেপ্ট। বিশেষ করে English আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার অত্যাবশ্যকীয় একটি অ্যাপ্লিকেশন। আর বাংলা ভাষায় আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার না থাকলেও বেশ কিছু স্পেল চেকার (Spell Checker) অ্যাপ্লিকেশন আছে যা নির্ভুল বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর কাজকে অনেক সহজ করেছে। বাংলা বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্পেল চেকার অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে অভ্র স্পেল চেকার এবং বাংলা প্লাস স্পেল চেকার।
নিচে একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে অ্যাপ্লিকেশন দুটি ইনস্টল করাসহ এর ব্যবহারবিধি সচিত্র উপস্থাপন করা হলো:
বাংলা প্লাস সাইটে বানান সংশোধনের নিয়ম
বাংলা প্লাস মূলত একটি ওয়েব সাইট যেখানে কোনো কিছু ডাউনলোড করা ছাড়াই বানান চেক ও সংশোধন করা যায়। এই সাইটে বানান চেক ও সংশোধন করতে নিম্নে উপস্থাপিত চিত্র অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে কাজগুলো করতে হবে।
- প্রথমে ব্রাউজারে “বাংলা প্লাস স্পেল চেকার” লিখে সার্চ করতে হবে। সার্চ রিসাল্টের প্রথমেই “বাংলা স্পেলার, বানান চেকার”-এ ক্লিক করতে হবে।
|
- তারপর নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে যেখানে কীবোর্ড সিলেক্ট করতে হবে। চিত্রে ইউনিকোড কীবোর্ড সিলেক্ট করা হয়েছে। তারপর “এখানে বাংলায় টাইপ করুন” অংশে টাইপ করা যেতে পারে বা অন্য কোথাও টাইপ করা লিখা কপি করে এখানে পেস্ট করা যেতে পারে।
- টাইপ করা বা কপি-পেস্ট করা শেষে উক্ত পেজের নিচের দিকে “বানান চেক করুন” নামক বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- তারপর নতুন আরেকটি পেজ ওপেন হবে যেখানে By Default যেকোনো ভুল বানানকে সিলেক্ট করা থাকবে। বানানটি সংশোধন করতে চাইলে সঠিক বানান সিলেক্ট করে “পরিবর্তন করুন” বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর যদি বানান সংশোধন করার প্রয়োজন না হয় তাহলে “এভাবেই থাকুক” বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে সকল বানান সংশোধন শেষে “বন্ধ করুন” বাটনে ক্লিক করে এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
- তারপর “কপি করুন” বাটনে ক্লিক করে লিখাটি কপি করে নির্ধারিত জায়গায় পেস্ট করলেই বাংলা প্লাস স্পেলারের মাধ্যমে যেকোনো আর্টিকেলের বানান সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
অভ্র স্পেল চেকারের মাধ্যমে বানান সংশোধনের নিয়ম
- প্রথমে স্টার্ট মেনু থেকে Avro Spell Cheker ওপেন করতে হবে।
- ওপেন করার পর নতুন যে Window আসবে সেখানে আর্টিকেল লিখতে হবে অথবা অন্য কোথাও লিখা আর্টিকেল কপি করে এখানে পেস্ট করতে হবে।
- তারপর "Spell Check" বাটনে ক্লিক করতে হবে। Spell Check বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি Window ওপেন হবে যেখানে By Default যেকোনো ভুল শব্দ সিলেক্টেড থাকবে। শব্দটি সঠিক শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করতে চাইলে সঠিক শব্দটি সিলেক্ট করে "Change Once" বাটনে ক্লিক করতে হবে। একটি ভুল শব্দ পুরো ফাইলে সবগুলো পরিবর্তন করতে "Change All" বাটনে ক্লিক করতে হবে। আর যদি কোনো ভুল শব্দ পরিবর্তন করার প্রয়োজন না হয় তাহলে "Ignore Once" বাটনে ক্লিক করতে হবে কিংবা একই শব্দ সবগুলো একসাথে Ignore করতে "Ignore All" বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে সকল শব্দ চেক করা হয়ে গেলে "Close" বাটনে ক্লিক করে এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। তারপর আর্টিকেলটি কপি করে নির্ধারিত স্থানে পেস্ট করলেই Avro Spell Cheker এর মাধ্যমে বানান সংশোধনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
উল্লেখ থাকে যে, ইংরেজী শব্দ যখন বাংলায় লিখা হয় তখন সেগুলোর সবই ভুল ধরবে কিংবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক বানানকেও ভুল ধরতে পারে। তাই এসব বানানের ক্ষেত্রে ম্যানুয়েলী নিজে নিজে চেক করে নিতে হবে। “বাংলা প্লাস” সাইটটির ব্যবহার বিধি সহজ হলেও নতুন হিসেবে বানান সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি লক্ষণীয়। আশা করি কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে সাইটটি ডেভেলপের কাজে লিপ্ত আছেন।
কপিরাইটিং কি
কপিরাইটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং সংশ্লিষ্ট একটি কনসেপ্ট। বিপণনের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপনের কাজে নিয়োজিত লেখালেখির পেশাকে কপিরাইটিং বলে। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কপিরাইটিং হচ্ছে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রেতার মনোযোগ আকৃষ্ট করার একটি প্রক্রিয়া। অফলাইন কিংবা অনলাইন যে কোনো মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য ঐ পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপণ দেওয়া অত্যাবশ্যকীয় কাজ।
ডিজিটাল মার্কেটিং-এ কোনো পণ্য বা সেবা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করতে তিনটি কনসেপ্ট বিবেচনায় রেখে বিজ্ঞাপনটি তৈরী করা হয়। যেমন-
- Attention
- Promise
- Call for Action
উপরের আলোচনা বিশ্লেষণ করলে বলা যায়, কপিরাইটিং হচ্ছে কোনো পণ্য বা সেবা সরবরাহে ব্যবহৃত বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্ষণীয় অফার কিংবা অন্য যেকোনো উপায়ে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করা, উক্ত পণ্য বা সেবা গ্রহণের ফলে ক্রেতা যে ফিডব্যাক পাবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা প্রদান করা এবং সর্বোপরি ক্রেতার নিকট পণ্য বিক্রয় বা সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া।
Plagiarism কি?
Plagiarism অর্থ হচ্ছে চৌর্যবৃত্তি, খাঁটি বাংলায় বলা যায় চুরিবৃত্তি। ব্লগিং জগতে কোনো ব্লগারের সম্পূর্ণ আর্টিকেল কিংবা আর্টিকেলের অংশবিশেষ হুবুহু কপি করে বীনাক্রেডিটে নিজ নামে পাবলিশড করাকে Plagiarism বলে। যে কোনো বিষয়বস্তু নিয়ে লেখার সময় মূল লেখক প্রচুর গবেষণা করে উক্ত বিষয়টিকে একটি আর্টিকেলে রূপ দেয়। কিন্তু Plagiarism করে মূহুর্তেই মূল লেখাটি কপি করে নিজ নামে চালিয়ে দেওয়া নৈতিকতা বিবর্জিত ঘৃণ্য অপাধ। এর ফলে মূল লেখক চরম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
Plagiarism কেন করবেন না?
যে কোনো লেখক আর্টিকেল লিখতে বা গবেষণার কাজে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। তবে হুবুহু কারো লেখা কপি করে নিজ নামে চালিয়ে দেওয়া মোটেও উচিত নয়। তাছাড়া Plagiarism গুগল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বহির্ভূত কাজ। Plagiarism করলে ওয়েবসাইট Copyright Claim এ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কোনো ওয়েব সাইট যদি Copyright Claim এ পড়ে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে ঐ ওয়েবসাইট গুগল কর্তৃক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পার। তাই প্রত্যেক ব্লগারের উচিত নিজ নিজ ওয়েবসাইটের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য Plagiarism এর মত গর্হিত কাজ পরিহার করে ব্লগিং করা।
সেই সাথে নিজ ওয়েবসাইটের লেখা অন্য কেউ কপি করেছে কিনা সেটাও সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা একজন আর্টিকেল রাইটারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজ ওয়েব সাইটের সম্পূর্ণ পোস্ট কিংবা আংশিক পোস্ট কেউ কবি করেছে কিনা সেটা দেখার জন্য ২টি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে-
- Copyscape ব্যবহারের মাধ্যমে
- সরাসরি গুগলে অর্গানিক সার্চের মাধ্যমে
Copyscape ব্যবহার করে Plagiarism চেক করার নিয়ম হচ্ছে কোনো একটি আর্টিকেলের লিংক কপি করে Copyscape এর নির্ধারিত জায়গায় পেস্ট করে “Copyscape Search” বাটনে ক্লিক করলেই কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে পোস্ট কপি করা হয়েছে তা শো করবে। এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সরাসরি গুগলে অর্গানিক সার্চের মাধ্যমে জানতে কোনো পোস্টের কয়েকটি লাইন সিলেক্ট করে মাউসের Right বাটনে ক্লিক করে “Search Google for .......” ক্লিক করলে কোন কোন ওয়েব সাইট উক্ত লেখাটি কপি করেছে সেটা জানা যাবে।
আর্টিকেল স্নিপিং কি?
কোনো আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন সমার্থক শব্দ ব্যবহার করে কিংবা ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করে নতুন একটি আর্টিকেল লেখার প্রক্রিয়াকে আর্টিকেল স্পিনিং বলে। আর্টিকেল স্নিপিং করতে বেশ কিছু ফ্রি আর্টিকেল স্নিপার আছে। এর মধ্যে free-article-spinner.com উল্লেখযোগ্য। free-article-spinner.com এর মাধ্যমে মাত্র এক ক্লিকে যেকোনো আর্টিকেলকে স্নিপিং করা সম্ভব।
আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং কি?
আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং হচ্ছে Chatgpt'র মত কিছু অনলাইন প্লাটফরম যেখানে একটি কী-ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে ঐ কী-ওয়ার্ড দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পূর্ণ একটি আর্টিকেল লেখার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। যেকোনো ব্রাউজারে আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং লিখে সার্চ দিলে এমন অনেক আর্টিকেল স্ক্র্যাপার পাওয়া যায়। যদিও আর্টিকেল স্নিপিং কিংবা আর্টিকেল স্ক্র্যাপিং-এ খুব সহজেই আর্টিকেল লেখা যায় তবুও এ পদ্ধতিতে আর্টিকেল লিখলে ওয়েবসাইট ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
স্নিপিং, স্ক্র্যাপিং কিংবা Plagiarism পদ্ধতিতে আর্টিকেল লিখা গুগল কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা বহির্ভূত কাজ। এই পদ্ধতিতে আর্টিকেল লিখলে এবং গুগল কর্তৃকপক্ষ বুঝতে পারলে উক্ত ওয়েবসাইটকে স্থায়ীভাবে ব্যান করে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই স্নিপিং, স্ক্র্যাপিং কিংবা Plagiarism করে আর্টিকেল লিখা মোটেও উচিত নয়।
Buying কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা ইনকাম করার উপায়
এই কনসেপ্টটি মূলত রিডার কর্তৃক সার্চকৃত কোনো নির্দিষ্ট পোস্ট গুগলে র্যাংক করিয়ে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করে কিংবা এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মধ্যমে ইনকাম পদ্ধতিকে বুঝায়। অর্থাৎ কেউ যদি গুগলে “কোন ব্র্যান্ডের এসি ভালো?” এমন কিছু লিখে সার্চ করে, তার মানে সে এসি কেনার কথা ভাবছে কিংবা এসি কিনবে বলে মনস্থির করেছে।
যখনই এই টাইপের কোনো কী ওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখা হবে এবং সেখানে কোনো একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের এসির গুনাগুন উল্লেখপূর্বক আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে এসি বিক্রয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে কিংবা ঐ এসি কোম্পানির ওয়েব সাইটের ব্যাক লিংক নিজ ওয়েবসাইটে সংযোজন করে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে Buying কিওয়ার্ড র্যাংক করে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আর্টিকেলটি মূলত নতুন ব্লগারদের উদ্দেশ্যে রচিত। নতুনরা শর্টকাটে ইনকাম পেতে কিছু ভুল পদ্ধতি অনুসরণ করে যা অদূর ভবিষ্যতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং জগতে শর্টকাট পদ্ধতি কখনোই মঙ্গলজনক নয়। তাই ধৈর্য্য ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে, সফলতা ধরা দেবেই দেবে।
আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে নিজেদের মধ্যে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আর্টিকেলটিতে কোনো প্রকার সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের আবশ্যকতা অনুভূত হলে আপনার সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণযোগ্য। ধন্যবাদ।
আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।
comment url