বাংলাদেশে কোন দিন কি দিবস? ২৬ মার্চ নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশে কোন দিন কোন দিবস সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অক্ষুন্ন রাখতে দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা প্রতিটি বাংলাদেশী নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। বিশেষ করে রক্তে ভেজা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ২৬ মার্চ নিয়ে কিছু কথা না জানলেই নয়। সেই ভাবনা থেকেই বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সহ দেশে পালিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস নিয়ে রচিত এই আর্টিকেলটি।
বাংলাদেশে-কোন-দিন-কোন-দিবস
দিবসগুলোর কোনটি দেশের সংস্কৃতিকে লালন করতে উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপিত হয় আবার কিছু দিবস আছে দেশের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে এবং দেশের জন্য আত্মত্যাগী বীরদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
একটি দেশের বাহ্যিক রূপ তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হলেও আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য প্রকাশ পায় দেশটির ইতিহাস ও সংস্কৃতির মাধ্যমে। বাংলাদেশের ইতিহাস রক্তেভেজা হলেও এর সংস্কৃতি খুবই উৎসবমুখর। রক্তেভেজা ইতিহাস ও উৎসবমুখর সংস্কৃতির মেলবন্ধনে উদ্ভাবিত কিছু দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে যা দেশটির ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘটনার স্মরণীয় মুহূর্তের প্রতিফলন ঘটায়।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও এর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ঘটনার পটভূমিকে কেন্দ্র করে এবং বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করতে দিবসগুলোকে বিভিন্ন নামে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দিবসগুলো উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রেও সরকারি কিছু বিধিনিষেধ আছে। তাই প্রত্যেকের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দিবসগুলো উদ্‌যাপন করা উচিত।

বাংলাদেশে কোন দিন কি দিবস?

রক্তস্নাত বাংলাদেশ হাজার বছরের পুরনো সংস্কৃতি, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়েও বিভিন্ন ঘটনার পরিক্রমায় জন্ম দিয়েছে অসংখ্য ইতিহাসের। আর সেই রক্তভেজা ইতিহাসের চুম্বক অংশ থেকে সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবস। বাংলাদেশে কোন দিন কি দিবস তার অধিকাংশই নির্ধারণ করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। 
বাংলাদেশে-কোন-দিন-কোন-দিবস
তবে কিছু দিবস আছে যেগুলো বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট। সেই দিবগুলো প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী হাজার বছর ধরে চলে আসছে এই বাংলার মাটিতে। নিচে বাংলাদেশে কোন দিন কি দিবস সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষনসহ তারিখ ও মাসের ক্রমানুসারে দিবসগুলো উপস্থাপন করা হলো:

জানুয়ারী মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০১ জানুয়ারিপাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবস

শর্টনোট:

  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব উদ্‌যাপিত হয় এই দিনটিতে।
  • ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
  • ২০১০ সালের ১ জানুয়ারী থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
০২ জানুয়ারিজাতীয় সমাজসেবা দিবস

শর্টনোট:

  • তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশে ১৯৫৫ সালে শুরু হয় সমাজসেবা কার্যক্রম।
  • সমাজসেবার এই কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সমাজসেবা পরিদপ্তর।
  • পরবর্তীতে কার্যপরিধি বৃদ্ধির ফলে ১৯৮৪ সালে এই পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।
১০ জানুয়ারিবঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • দীর্ঘ ২৯০ দিন কারাভোগের পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
  • ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টা ৪১ মিনিট তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
  • এরপর থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রতিবছর এই দিনে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদ্‌যাপন করে।
২০ জানুয়ারিশহিদ আসাদ দিবস

শর্টনোট:

  • পুরো নাম আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
  • তিনি ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলাধীন ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে আইয়ুব পতন আন্দোলনের একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা ছিলেন।
  • ১৯৬৯ সালের এই দিনে রাজপথের মিছিলে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
২৩ জানুয়ারিবার্ষিক প্রশিক্ষণ দিবস

শর্টনোট:

  • দক্ষ শ্রমশক্তি বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে ১৯৯৭ সালের এই দিনে দিবসটির যাত্রা শুরু হয়।
২৪ জানুয়ারিগণঅভ্যুত্থান দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৬৯ সালে জাতির মুক্তির সনদ খ্যাত ছয়দফা আন্দোলন, ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসূচি এবং আগরতলা মামলা পরবর্তী বিক্ষোভের সমন্বয়ে একটি গণ আন্দোলনে রূপ নেয় যা ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান’ নামে পরিচিত।
  • তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে ১৯৬৯ সালের এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই।
  • এই প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়।
২৫ জানুয়ারিকম্পিউটারে বাংলা প্রচলন দিবস

শর্টনোট:

  • সর্বপ্রথম কম্পিউটারে বাংলা লেখার প্রোগ্রাম তৈরি করেন আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ।
  • ১৯৮৫ সালের ২৫ জানুয়ারি তিনি কম্পিউটারে বাংলা লেখার প্রোগ্রাম তৈরি করেন।
  • ২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশী কিছু ব্লগারের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২৭ জানুয়ারিসলংগা দিবস

শর্টনোট:

  • দিবসটি ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের স্মরণে পালিত হয়।
  • ১৯২২ সালের এই দিনে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ মহকুমার সলংগা হাটে বিদেশী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বয়কট করায় ব্রিটিশ পুলিশ সাধারণ জনতার ওপর গুলি নিক্ষেপ করে।
  • উক্ত ঘটনায় প্রায় ১২০০ সাধারণ মানুষ নিহত হয়।
  • সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবং নিহতদের স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।

ফেব্রুয়ারি মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০২ ফেব্রুয়ারিজাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস

শর্টনোট:

  • ২০১৮ সাল থেকে ‘জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস’ পালিত হয়ে আসছে।
  • সবশ্রেণির মানুষকে নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন করাই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য।
০২ ফেব্রুয়ারিজাতীয় জনসংখ্যা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস প্রতিষ্ঠা করে এবং ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই থেকে প্রতি বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়।
  • এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনের পাশাপাশি ০২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালনের উদ্যোগ নেয়।
  • পরিবার পরিকল্পনা ও মাতৃস্বাস্থ্যের উপর জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়।
০৪ ফেব্রুয়ারিজাতীয় ক্যান্সার দিবস / বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

শর্টনোট:

  • যদিও দিবসটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তবুও প্রতিবছর ক্যান্সার সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশে খুব গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালিত হয়।
  • ২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইউআইসিসি কর্তৃক দিবসটি প্রবর্তিত হয়।
০৫ ফেব্রুয়ারিজাতীয় গ্রন্থাগার দিবস

শর্টনোট:

  • ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ০৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • ২০১৮ সালের ০৫ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রথম জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন করা হয়।
  • সর্বস্তরের জনগণকে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করা এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সকল পাঠাগারগুলোকে গতিশীল করাই জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের মুখ্য উদ্দেশ্য।
০৭ ফেব্রুয়ারিবাংলা ইশারা ভাষা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৯২ সালে জাতীয় বধির সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বাংলা ইশারা ভাষার বিধান প্রণয়ন করা হয়।
  • ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বিবৃতির প্রেক্ষিতে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • একই বছরের ০৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
  • জাতীয় বধির সংস্থার উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
১১ ফেব্রুয়ারিসড়ক হত্যা দিবস

শর্টনোট:

  • দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া এবং কার্যকর পদক্ষেপে কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে নির্দেশিত করতেই সড়ক দূর্ঘটনাকে ‘সড়ক হত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
  • বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেভ দ্য রোড’ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
১৪ ফেব্রুয়ারিসুন্দরবন দিবস

শর্টনোট:

  • সুন্দরবনে বসবাসকৃত জীববৈচিত্র্যের পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য।
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের অধীনে প্রায় ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে ‘সুন্দরবন সম্মেলন’ নামে একটি কর্মসূচি গৃহীত হয় এবং ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
  • ঐ সম্মেলন থেকেই প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সুন্দরবন দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১৪ ফেব্রুয়ারিস্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৮২ সালে তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি গণবিচ্ছিন্ন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে।
  • এই শিক্ষানীতি বিরোধিতা করে ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি সাধারণ ছাত্রজনতা সচিবালয়ে স্মারক লিপি প্রদান করতে গেলে পুলিশের গুলিতে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটে।
  • সেই থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারিশহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবীতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত শহিদদের স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।
  • উক্ত মিছিলে পুলিশের গুলিতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর শহিদ হন।
  • মাতৃভাষার জন্য জীবন দানের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই।
  • ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
  • জাতিসংঘের সদস্যদেশসমূহে ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
২৭ ফেব্রুয়ারিজাতীয় পরিসংখ্যান দিবস

শর্টনোট:

  • জাতীয় পরিসংখ্যান আইন পাস করা হয় ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
  • ঐ দিনের স্মরণেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠকে ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারিজাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস

শর্টনোট:

  • ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই দিবসটির মুখ্য উদ্দেশ্য।
  • বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
  • ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি যাত্রা শুরু করে।

মার্চ মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০১ মার্চজাতীয় বীমা দিবস

শর্টনোট:

  • বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়।
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি জাতীয় বীমা দিবস পালনের ঘোষণা দেন।
  • এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ০১ মার্চ থেকে দিবসটি প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে।
০২ মার্চজাতীয় ভোটার দিবস

শর্টনোট:

  • জনমনে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দিবসটি পালিত হয়।
  • ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের প্রস্তাব উপস্থাপন ও অনুমোদন দেওয়া হলেও একই দিনে জাতীয় বীমা দিবস হওয়ায় পরবর্তীতে ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
০২ মার্চজাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
  • ঐ দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আসম আবদুর রব।
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবনে।
০৪ মার্চটাকা দিবস

শর্টনোট:

  • বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম নিজস্ব মুদ্রা চালু করা হয় ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ।
  • স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুদ্রা ০১ টাকার নোট ও ১০০ টাকার নোট।
  • নোট দুটি ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ছাপানো হয়।
  • ২০২১ সালের ০৪ মার্চ সর্বপ্রথম দিবসটি পালন করা হয় এবং এরপর থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
০৬ মার্চজাতীয় পাট দিবস

শর্টনোট:

  • ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে জাতীয় পাট দিবস পালনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
  • একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পাট দিবস পালনের ব্যাপারে পরিপত্র জারি করা হয়।
  • ২০১৭ সালের ০৬ মার্চ প্রথম জাতীয় পাট দিবস পালন করা হয়।
০৭ মার্চজাতীয় ঐতিহাসিক দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালের ০৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, সেই দিনের স্মরণে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস পালন করা হয়।
  • যদিও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই ০৭ মার্চ বাংলাদেশের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন তবুও ২০২০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ০৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
০৮ মার্চনারী দিবস

শর্টনোট:

  • যদিও দিবসটি আন্তর্জাতিক তবুও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
  • নারী দিবসের পূর্ব নাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস।
  • জার্মান নাগরিক ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে এক সম্মেলনে ১৯১১ সালে নারী দিবস পালনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
  • ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পূর্ব থেকে বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে।
১০ মার্চজাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস

শর্টনোট:

  • জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে অবগত করা এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
  • ২০১৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • প্রথমে মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও প্রায়শই মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ২৬ মার্চ হয়ে যায়। যার ফলে পরবর্তীতে মার্চ মাসের ১০ তারিখ দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৭ মার্চজাতির পিতার জন্ম দিবস

শর্টনোট:

  • বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
  • স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ১৭ মার্চ সরকারি ও বেসরকারিভাবে ‘জাতির পিতার জন্ম দিবস’ নামে দিনটি উদ্‌যাপন করা হয়।
১৭ মার্চজাতীয় শিশু দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম জাতীয় শিশু দিবস পালনের ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
  • সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে “বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা” নামক একটি সংগঠন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বেসরকারিভাবে জাতীয় শিশু কিশোর দিবস পালন করেন।
  • ১৯৯৬ সালে মন্ত্রীপরিষদের এক বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন বিষয়ক আলোচনায় ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করার ঘোষনা দেওয়া হয়।
  • তারপর ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২৫ মার্চগণহত্যা দিবস

বিস্তারিত পড়ুন: গণহত্যা দিবস বা ২৫ মার্চ কালো রাতের ঘটনা

২৬ মার্চস্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

শর্টনোট:

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করা হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ।
  • ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর প্রতিবছর দিবসটি উদ্‌যাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এপ্রিল মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০৩ এপ্রিলজাতীয় চলচ্চিত্র দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৫৭ সালের ০৩ এপ্রিল দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এফডিসি (চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
  • বঙ্গবন্ধু কর্তৃক উক্ত প্রস্তাবনার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ০৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে।
  • চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্পী ও এফডিসির কর্মীরা বিভিন্ন বর্ণীল আয়োজনের মাধ্যমে প্রতি বছর দিবসটি উদ্‌যাপন করে থাকেন।
০৬ এপ্রিলজাতীয় ক্রীড়া দিবস

শর্টনোট:

  • ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ০৬ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালিত হয়ে আসছে।
  • ক্রীড়া সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছর ০৬ এপ্রিল দেশের ক্রীড়া সংগঠনগুলো দিবসটি উদ্‌যাপন করে থাকে।
০৮ এপ্রিলবাংলাদেশ স্কাউটস দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭২ সালের ৮ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি।
  • দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২২ সাল থেকে প্রতি বছর ৮ এপ্রিল দিবসটি উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে।
১৪ এপ্রিল
(১লা বৈশাখ)
বাংলা নববর্ষ

শর্টনোট:

  • বাংলা নববর্ষ হচ্ছে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব যা প্রতিবছর বাংলা সনের প্রথম দিন উদ্‌যাপিত হয়। ইংরেজি সালের হিসাবমতে এটি ১৪ এপ্রিল হয়।
  • ১৫৮৪ সালের ১০/১১ মার্চ সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
  • ১৫৮৪ সালে বাংলা সন প্রবর্তন করা হলেও ০৫ নভেম্বর ১৫৫৬ সাল থেকে তা কার্যকর হয়।
  • বাংলা বর্ষপঞ্জির পরিকল্পনাকারী ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
  • ১৯৬৩ সালে তিনি এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
  • ‘বাংলা নববর্ষ’ পহেলা বৈশাখ চালু করেন সম্রাট আকবর।
  • বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ৩১ দিনের মাস বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন।
  • ৩০ দিনের মাস কার্তিক, অগ্রাহায়ণ, পৌষ, মাঘ, চৈত্র।
  • ২৯ দিনের মাস ফাল্গুন (গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে Leap Year হলে ৩০)।
১৭ এপ্রিলমুজিবনগর দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।
  • একই বছর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের এক আম্রকাননে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয় যা মুজিবনগর সরকার নামে বহুল প্রচলিত।
১৮ এপ্রিলপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল মুজিব নগর সরকারকে সমর্থন জানিয়ে কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তাদের আনুগত্য প্রকাশ করেন।
  • দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ১৮ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিবস উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে।
২৬ এপ্রিলকমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস

শর্টনোট:

  • ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়।
  • এরপর থেকে প্রতিবছর ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
২৮ এপ্রিলজাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস

শর্টনোট:

  • জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা প্রণীত হয় ২০১৩ সালে।
  • বিশ্বের উন্নত দেশেগুলোর শ্রমজীবী মানুষের সাথে সমন্বয় করে বাংলাদেশের শ্রমজীবীদের জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয়ভাবে দিবসটি উদ্‌যাপন করে আসছেন।
২৮ এপ্রিলজাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস

শর্টনোট:

  • অজ্ঞতা, আর্থিক অসচ্ছলতা এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০ প্রণীত হয়।
  • ন্যায় বিচারের সুবিধা বঞ্চিত জনগনকে বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ২৮ এপ্রিল স্বেচ্ছায় সর্বস্তরের জনগন দিবসটি পালন করে আসছে।

মে মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০১ মেশ্রমিক দিবস

শর্টনোট:

  • শ্রমিক দিবস মূলত আন্তর্জাতিকভাবে পালিত একটি দিবস।
  • শ্রমিক দিবসের অপর নাম মে দিবস (May Day).
  • বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমজীবী কর্মচারীরা দিবসটি পালন করে থাকে।
  • ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ০১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটে ০৮ ঘণ্টা কর্মসময় এবং সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণের দাবীতে শ্রমিকদের জামায়েতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে রাখতে দিবসটি পালিত হয়।
১৬ মেফারাক্কা লং মার্চ দিবস

শর্টনোট:

  • ভারতের গঙ্গা নদীর পানি এককভাবে সংরক্ষণ কিংবা অপসারণের তাগিদে ভারত সরকার ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেন যা বাংলাদেশের পদ্মা নদীর নাব্যতা হারানোর শঙ্কা তৈরি করে। ফারাক্কা বাঁধের ফলে নদীমাতৃক বাংলাদেশের নাব্যতা হারানোর আশঙ্কা থেকে ১৯৭৬ সালের ১৬ মে একটি লং মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল যার নেতৃত্বে ছিলেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
  • ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে ১৯৭৬ সালে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কর্তৃক গৃহীত সেই কর্মসূচী এখনও অমীমাংসিত।
  • ১৯৭৬ সালে মাওলানা ভাসানী যে আশঙ্কা থেকে এই লং মার্চ করেছিলেন সেই আশঙ্কা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ভারতের গঙ্গা এবং বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি নদীই এখন মৃতপ্রায়।
২৩ মেজাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস

শর্টনোট:

  • ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরে সংঘটিত এক লঞ্চ দূর্ঘটনায় প্রায় শতাধিক যাত্রী নিহত হয়।
  • উক্ত ঘটনার পর নৌ পথে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে “নোঙর বাংলাদেশ” ঘরে উঠে এবং নিহতদের স্মরণে প্রতিবছর ‘নোঙর বাংলাদেশ’ কর্তৃক দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২৫ মেনজরুল জয়ন্তী

শর্টনোট:

  • নজরুর জয়ন্তী হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিবস।
  • বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং কলকাতার বাঙালিরা কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর কাজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতি বছর এই দিনে দিবসটি পালন করে থাকে।
২৮ মেনিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৯৭ সালের ২৮ মে থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
  • ১৯৯৮ সালের এই দিন থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
  • গর্ভকালীন নিরাপদ মাতৃস্বাস্থ্য, প্রসবকালীন মাতৃমৃত্যুহার কমানো এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে মা ও নবজাতকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য।

জুন মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০৪ জুনজাতীয় চা দিবস

শর্টনোট:

  • বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২০২১ সালের ৪ জুন থেকে প্রতিবছর জাতীয় চা দিবস পালন করা হয়।
  • ২০২৩ সালের একই দিন থেকে ‘জাতীয় চা পুরস্কার’ প্রথা চালু করা হয়।
  • সর্বমোট আটটি ক্যাটাগরিতে চা শিল্পে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
০৭ জুনঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে স্বায়ত্ত্বশাসিত রাষ্ট্র (পররাষ্ট্র/উপরাষ্ট্র) করার দাবীতে ছয়টি দফা নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলন বা ছয় দফা আন্দোলন বলে।
  • ১৯৬৬ সালের ০৭ জুন ঢাকা, নারায়গঞ্জ ও টঙ্গীর বিভিন্ন স্থানে তৎকালীন আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ কর্মসূচীতে পুলিশের গুলিতে মোট ১১ জন শহীদ হন।
  • সেই ঘটনার পটভূমির পটভূমিকে কেন্দ্র করে শহীদদের স্মরণে দিনটিকে “ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস” হিসেবে পালন করা হয়।
  • ছয় দফা আন্দোলনকে মেঘনা কার্টা বা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদও বলা হয়।
১৩ জুনইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস

শর্টনোট:

  • ইভ টীজিং মানে হলে ‍উত্যক্তকরণ।
  • যেহেতু নারী বা মেয়েরাই এর শিকার হয় তাই নারী, মেয়েশিশু, কিশোর ও তরুণীদের গতিবিধির সুষ্ঠু পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়।
  • বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় দিবসটি পালনের ঘোষনা দেন। সেই থেকে প্রতিবছর ১৩ জুন “ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস” পালিত হয়ে আসছে।
২৩ জুনপলাশী দিবস

শর্টনোট:

  • ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে ঐতিহাসিক এই ট্র্যাজিডির জন্ম।
  • এই দিন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও লর্ড ক্লাইভের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে বাংলার প্রধান সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিরাজউদ্দৌলা পরাজয় বরণ করে এবং এর পরবর্তী ১৯০ বছর পর্যন্ত বাংলা-বিহার-উড়িষ্যাসহ পুরো উপমহাদেশ ইংরেজদের গোলামে পরিণত হয়।
  • তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ২৩ জুন পলাশী দিবস পালিত হয়।

জুলাই মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০১ জুলাইঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯২১ সালের ০১ জুলাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছে তৎকালীন অবহেলিত ও নিপীড়িত পূর্ববঙ্গে।
  • বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য।
  • তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর ০১ জুলাই বিভিন্ন বর্ণিল আয়োজনে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।
২৩ জুলাইজাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস

শর্টনোট:

  • জনগণের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন আয়োজনে দিবসটি উদ্‌যাপন করে থাকেন।

আগস্ট মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০৮ আগস্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্ম দিবস

শর্টনোট:

  • ০৮ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা’র জন্ম দিন।
  • তিনি ১৯৩০ সালের ০৮ আগস্ট তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
০৯ আগস্টজাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুজাতিক কোম্পানি শেল অয়েল এর কাছ থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ, কৈলাসটিলা ও রশিদপুর নামক পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র তখনকার ১৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় কিনে রাখেন যা বর্তমানে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের একটি বড় উৎস।
  • বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১০ সাল থেকে ০৯ আগস্ট প্রতিবছর সরকারিভাবে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।
১৫ আগস্টজাতীয় শোক দিবস

শর্টনোট:

  • স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদিবস।
  • ১৯৭৫ এর এই দিনে তৎকালীন সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পুরো পরিবারের ১৬ জন সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
  • জাতির এই কলঙ্কজনক শোকাবহ অধ্যায়কে স্মরণ করে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট গভীর ভাবগাম্বীর্যের সাথে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়।

সেপ্টেম্বর মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

১৭ সেপ্টেম্বরঐতিহাসিক শিক্ষা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক শোষন ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যের শিকার তৎকালীন ছাত্রসমাজ আন্দোলন করেন।
  • উক্ত আন্দোলনে ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা ও বাবুলসহ অনেক শহিদ হন।
  • সেই থেকে শিক্ষার জন্য আত্মত্যাগী শহিদদের স্মরণে প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
৩০ সেপ্টেম্বরজাতীয় কন্যাশিশু দিবস

শর্টনোট:

  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০০০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালনের আদেশ জারি করেন।
  • প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ০৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিবছর শিশু সপ্তাহ পালন করা হয়।
  • নারী-পুরুষ বৈষম্য নিরসনে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়।

অক্টোবর মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

০২ অক্টোবরপথশিশু দিবস/সুবিধাবঞ্চিত শিশু দিবস

শর্টনোট:

  • পথশিশুদের পুনর্বাসন ও তাদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিবছর ০২ অক্টোবর দিবসটি পালিত হয়।
০২ অক্টোবরজাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস

শর্টনোট:

  • শিল্পবিপ্লবের এই আধুনিক যুগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ০২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়।
  • ২০১১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
০৫ অক্টোবরশিক্ষক দিবস

শর্টনোট:

  • যদিও দিনটি একটি আন্তর্জাতিক দিবস তবুও এর গুরুত্ব বিবেচনায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
  • শিক্ষা ও উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক। এক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষকদের এই মহান ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনে ০৫ অক্টোবর দিনটিতে শিক্ষক দিবস উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
  • ১৯৯৪ সালর ৫ অক্টোবর থেকে প্রতিবছর শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে।
০৬ অক্টোবরজাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস

শর্টনোট:

  • জাতীয় হালনাগাদে জনসংখ্যার সঠিক তথ্য পেতে এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জন্ম এবং মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
  • নির্ধারিত সময়ে জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিবসটি পালিত হয়।
  • ২০২১ সালের ৯ আগস্ট মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ০৬ অক্টোবর জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়।
১৮ অক্টোবরশেখ রাসেল দিবস

শর্টনোট:

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।
  • ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে শেখ রাসেলের জন্ম।
  • ২০২১ সাল হতে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর তার জন্মদিনে দিবসটি পালিত হয়।
২২ অক্টোবরজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস

শর্টনোট:

  • সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়।
  • ২০১৭ সালের মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ ঘোষণা করা হয়।
  • তারও আগে ১৯৯৩ সালে চিত্রনায়ক ইলিয়াসকাঞ্চনের নেতৃত্বে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)’র উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পরিলক্ষিত ছিল।

নভেম্বর মাসের দিবস সমূহ

তারিখ

দিবসের নাম

নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবারজাতীয় সমবায় দিবস

শর্টনোট:

  • বাংলাদেশে ১৯০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সমবায়ের কার্যক্রম শুরু হয়।
  • দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবারকে ‘জাতীয় সমবায় দিবস’ পালনের ঘোষনা দেওয়া হয়।
  • সেই থেকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
  • প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে উৎপাদন, বিপণন ও বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে দিবসটি পালিত হয়।
০১ নভেম্বরজাতীয় যুব দিবস

শর্টনোট:

  • প্রশিক্ষিত যুব সমাজ ও যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিবছর ০১ নভেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়।
০২ নভেম্বরজাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭৮ সালের ০২ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “সন্ধানী” ঢাকা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকে প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
  • পরবর্তীতে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
  • ঘোষণা মতে প্রতি বছর ০২ নভেম্বর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়।
০৩ নভেম্বরজেল হত্যা দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের সহযোগিতায় তৎকালীন বানিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোস্তাক আহমেদ সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
  • বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২২ আগস্ট তার ঘনিষ্ট সহচর ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানকে কারাগারে প্রেরণ করে।
  • ১৯৭৫ সালে ০৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে খন্দকার মোস্তাকের নির্দেশনায় কারান্তরীণ অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে গুলি করে ও বেনয়েট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
  • সেই স্মৃতি স্মরণার্থে ০৩ নভেম্বর দিনটিকে জেল হত্যা দিবস নামে অভিহিত করা হয় এবং গভীর শ্রদ্ধার সাথে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়।
০৪ নভেম্বরসংবিধান দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭২ সালের ০৪ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের নিজস্ব সংবিধান প্রণয়ন করা হয় এবং একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এই সংবিধানের বিধান মোতাবেক দেশের কার্যক্রম শুরু হয়।
  • ১৯৭২ সালের ০৪ নভেম্বর সংবিধান প্রণয়নের দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে প্রতি বছর ০৪ নভেম্বর ‘সংবিধান দিবস’ পালন করা হয়।
০৭ নভেম্বরবিপ্লব ও সংহতি দিবস

শর্টনোট:

  • বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অপর নাম মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস।
  • ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী ও জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর ০৩ দিনের সরকারের পতন ঘটিয়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান কারামুক্তি লাভ করেন।
  • সেই থেকে দিবসটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে অভিহিত করা হয়।
  • যদিও দিবসটি নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে কিছুটা বিতর্ক রয়েছ তবুও বিএনপিসহ (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) সমমনা দলগুলো প্রতিবছর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা পালন করে।
  • বিএনপি সরকারের ক্ষমতাকালে দিবসটি সরকারি ছুটির তালিকায়ও লিপিবদ্ধ ছিল।
১৫ নভেম্বরজাতীয় কৃষি দিবস

শর্টনোট:

  • ১লা অগ্রহায়ণ হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি দিবস।
  • সেই মতে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ জাতীয় কৃষি দিবস পালণ করা হয়।
  • ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে নিয়মিত দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
২১ নভেম্বরসশস্ত্র বাহিনী দিবস

শর্টনোট:

  • সশস্ত্র বাহিনী দিবস মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত একটি দিবস।
  • ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।
  • সেই থেকে দিবসটিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয় এবং প্রতি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়।
৩০ নভেম্বরজাতীয় কর দিবস

শর্টনোট:

  • কর দিবস হচ্ছে আয়কর রিটার্ন দাখিলের একটি অপরিবর্তনীয় ডেডলাইন।
  • ২০১৬ সালের পূর্বে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস উদ্‌যাপন করা হতো।
  • ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • কোনো বছর ৩০ নভেম্বর সরকারি ছুটি থাকলে এর পরের দিন দিবসটি পালন হয়।
  • সর্বস্তরের জনগণকে বিধিমোতাবেক আয়কর প্রদানে উৎসাহিত করতেই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ডিসেম্বর মাসের দিবস সমূহ


তারিখ

দিবসের নাম

০১ ডিসেম্বরমুক্তিযোদ্ধা দিবস

শর্টনোট:

  • মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিবছর বেসরকারিভাবে ০১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করে থাকেন।
  • বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করতে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
০৩ ডিসেম্বরজাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস

শর্টনোট:

  • শারীরিকভাবে অস্বাভাবিক মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা সৃষ্টির প্রয়াস থেকে ১৯৯২ সাল থেকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রতি বছর ০৩ ডিসেম্বর ‘প্রতিবন্ধী দিবস’ পালন করা হয়।
  • ১৯৯৯ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক দিবসটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রতি বছর ০৩ ডিসেম্বর ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ পালন করা হয়।
০৪ ডিসেম্বরজাতীয় বস্ত্র দিবস

শর্টনোট:

  • বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের অসামান্য অবদানকে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদী করার লক্ষ্যে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদ্‌যাপন করা হয়।
  • ২০১৯ সালের ০৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
  • সেই থেকে প্রতি বছর ০৪ ডিসেম্বর পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্‌যাপন করে আসছে।
০৬ ডিসেম্বরস্বৈরাচার পতন দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৯০ সালের ০৬ ডিসেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গণ আন্দোলনের রোষানলে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
  • তার এই পদত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
  • সেই থেকে দিবসটিকে স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
০৯ ডিসেম্বরবেগম রোকেয়া দিবস

শর্টনোট:

  • ০৯ ডিসেম্বর বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু দিবস
  • শিক্ষা, সাহিত্য ও নারী সমাজের উন্নয়নে অসামান্য অবদানের সম্মানার্থে প্রতি বছর ০৯ ডিসেম্বর ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ পালন করা হয়।
  • সরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
  • একই দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বাংলাদেশী নারীদের রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।
১০ ডিসেম্বরজাতীয় ভ্যাট দিবস

শর্টনোট:

  • মূলত ভ্যাট বা মূসক প্রদানে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতেই জাতীয় ভ্যাট দিবস পালন করা হয়।
  • ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় ভ্যাট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
  • একই সাথে ১০ ডিসেম্বর থেকে পুরো সপ্তাহ জুড়ে ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ’ পালন করা হয়।
১২ ডিসেম্বরডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস

শর্টনোট:

  • ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস এর পূর্ব নাম ছিল আইসিটি দিবস বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস।
  • ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর দিবসটিকে ‘আইসিটি দিবস’ পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ দিবসে নামান্তর করা হয়।
  • প্রতি বছর ১২ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিভিন্ন বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে।
  • পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ০৭ আগস্ট মন্ত্রী পরিষদের এক বৈঠকে দিবসটিকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
  • সেই মোতাবেক একই বছর ১২ ডিসেম্বর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ নামে দিনটি উদ্‌যাপিত হয়।
১৪ ডিসেম্বরশহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস

শর্টনোট:

  • ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং পরাজয় নিশ্চিত জেনেও ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার, আল-বদর ও আল শামস্‌ বাহিনীর সহযোগিতায় দেশের গণমান্য ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
  • শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর সরকারিভাবে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
১৬ ডিসেম্বরবিজয় দিবস

শর্টনোট:

  • ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হচ্ছে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফল।
  • প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয়ভাবে দেশের সর্বত্র যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।
  • ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপন জারি করে দিনটিকে বিজয় দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়।
১৮ ডিসেম্বরসুপ্রিম কোর্ট দিবস

শর্টনোট:

  • স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কার্যদিবস শুরু হয় ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর।
  • দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ১৮ ডিসেম্বরকে ‘সুপ্রিম কোর্ট দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
  • সেই থেকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়।

২৬ মার্চ নিয়ে কিছু কথা

দেশব্যাপী ২৫ শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক  নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মৃত্যুৎসব শেষে ২৬ মার্চ ভোরে উদিত হয়েছ রক্তস্নাত নতুন সূর্য। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ওয়্যারলেস এর মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা এসেছে। বাংলাদেশের সকল স্থানে তদানীন্তন ইপিআর এর ট্রান্সমিটার, টেলিগ্রাম ও টেলিপ্রিন্টারের মাধ্যমে এ ঘোষণা প্রচার করা হয়।  নিচে ২৬ মার্চ নিয়ে কিছু কথা শর্টনোট আকারে উপস্থাপন করা হলো:
বাংলাদেশে-কোন-দিন-কোন-দিবস
  • দেশ বিদেশের সবাইকে জানানোর উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছিল ইংরেজিতে।
  • স্বাধীনতা ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডিস্থ নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। 
  • বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে ঐ রাতে আদমজি ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে রাখা হয়। 
  • ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র হতে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বেতারকেন্দ্র গড়ে তোলা হয় এবং এর নাম দেওয়া হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র।
  • স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র থেকে বিপ্লবী নামটি বাদ দেওয়া হয় ২৮ মার্চ ১৯৭১।
  • ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ. হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন ।
  • ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রচার করেন।
  • ২৬ মার্চকে ‘জাতীয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণা করা হয় ১৯৮০ সালে।

লেখকের মন্তব্য

প্রচলিত প্রথা কিংবা সরকার ঘোষিত এই দিবসগুলো দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পরিচায়ক। দিবসগুলো বাঙালি জাতির জাতিসত্তাকে নির্দেশিত করে এবং প্রতিবছর সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে দেশের সর্বত্র দিবসগুলো পালন করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি প্রবাসী বাঙালীদের কল্যাণে বহির্বিশ্বেও দিবসগুলো পালিত হয় যা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে রিপ্রেজেন্ট করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেকোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বাংলাদেশে কোন দিন কি দিবস এমন সব বিষয় নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। সেই প্রেক্ষিতে রচিত এই আর্টিকেলটি চাকুরী পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষা কিংবা যেকোনা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হলে আপনার সহপাঠী কিংবা বন্ধুমহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এছাড়াও MrDorpon এর প্রতিটি রিডার দর্পণ পরিবারের একজন সদস্য। তাই আর্টিকেলটিতে কোন প্রকার সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনের প্রয়োজন হলে কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে ইনফর্ম করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করেনি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।

comment url