বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি এবং তাঁর ০৫ সন্তান পরিচিতি

বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকেই হয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং পরিচালিত হয়েছিল বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপ। এ বাড়িতেই বেড়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুর ০৫ সন্তান। এখানে অবাধ বিচরণ ছিল বঙ্গবন্ধুর সকল আত্মীয়-স্বজনদের। ১৯৬১ সালে বাড়িটি নির্মাণের পর থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পূর্বপর্যন্ত তিনি এখানেই বসবাস করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি
এ বাড়ির মায়ায় তিনি এতটাই আচ্ছন্ন ছিলেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের সময় যেখানে অন্যরা সবাই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তখনও তিনি বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

ভূমিকা

স্মৃতিবিজরিত বঙ্গবন্ধুর এই বাড়িটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনেক গুরুত্ব বহন করে। ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’এর নির্বাচন এবং সর্বোপরি ৭১’ এর মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনার স্বাক্ষী বঙ্গবন্ধুর এই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি। এই বাড়ির প্রতিটি কোনায় অবাধ বিচরণ ছিল তাঁর ০৫ সন্তান শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং অবুঝ শিশু শেখ রাসেলের।

বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি এবং তাঁর ০৫ সন্তান পরিচিতি শীর্ষক রচিত এই আর্টিকেলে আরও বর্ণিত আছে বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় স্বজন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু সম্পর্কে। আশাকরি বঙ্গবন্ধু প্রেমী প্রত্যেকেই এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং আরও উদ্বেলিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা।

বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি

বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করা হয় । বাড়িটির মুল ভবনের উত্তরে সম্প্রসারণ করে ২০১১ সালের ২০ আগষ্ট ষষ্ঠতলার নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়। যেখানে মোট ২৬টি পর্বে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য ও সচিত্র ঘটনা সুসজ্জিত করে উপস্থাপন করা আছে।

বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের তথ্য ও সূত্রমতে শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে মন্ত্রী থাকাকালীন বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব নুরুজ্জামানকে অনুরোধ করলে তিনি ধানমন্ডিতে জমি বরাদ্দের জন্য গণপূর্ত বিভাগে আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৫৭ সালে গণপূর্ত বিভাগ ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এক বিঘা জমি বরাদ্দ দেন।

জমি পাওয়ার পর প্রথমে এখানে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি একতলা বাড়ি নির্মান করে নির্মানাধীন অবস্থায় ১৯৬১ সালের ১লা অক্টোবর শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে এই বাড়িতে উঠেন। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে বাড়িটির দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ শেষ হয়। এই বাড়ি থেকেই তিনি তাঁর সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত করতে থাকেন।
বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি
এই বাড়িতেই ঘটে ইতিহাসের লোমহর্ষক ঘটনা ‘১৫ আগষ্ট’। সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের ০৮ জন সদস্যসহ ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। সৃষ্টি করে বাঙালি জাতির জন্য এক কালো অধ্যায়। তাই বলা চলে, বাঙালি জাতির জন্য বঙ্গবন্ধুর এই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটির মাহাত্ম্য আকাশচুম্বী। নিচে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির খুঁটিনাটি কিছু তথ্য শর্টনোট আকারে উপস্থাপন করা হলো:
  • শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর থেকে ১৯৮১ সালের ১০ জুন পর্যন্ত বাড়িটিতে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল এবং ঐ সময় বাড়িটি সামরিক কর্তৃপক্ষের অধীনে ছিল।
  • ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফিরে বাড়িটিতে প্রবেশ করতে না পেরে বাড়ির সামনের রাস্তার উপরে মিলাদ ও দোয়া পড়েন।
  • শেখ হাসিনা দেশে ফেরার কিছুদিন পর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কোরপোরেশন থেকে গৃহীত ঋণের মাত্র ১২,০০০ টাকা ঋণের টাকা পরিশোধ না হওয়ায় বাড়িটিকে নিলামে ওঠানো হয়।
  • পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১০ জুন সেই টাকা পরিশোধ করে বাড়িটি ফিরিয়ে আনা হয়।
  • ১৯৯৪ সালের ১১ই এপ্রিল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ গঠন করেন এবং ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ও টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত তাদের পৈতৃক বাড়ি দেখাশুনার জন্য উক্ত ট্রাস্টের হাতে অর্পণ করেন।
  • পরবর্তীতে উক্ত ট্রাস্ট ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে রূপান্তর করে।
  • জাদুঘরটি বুধবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ০৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
  • জাদুঘরটিতে প্রবেশের টিকিট মূল্য মাত্র ০৫ টাকা।

বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তিন পুত্র ও দুই কন্যাসহ ০৫ সন্তানের জনক। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুননেছা দম্পতির প্রথম সন্তান শেখ হাসিনা, দ্বিতীয় সন্তান শেখ কামাল, তৃতীয় সন্তান শেখ জামাল, চতুর্থ সন্তান শেখ রেহানা এবং পঞ্চম সন্তান শেখ রাসেল।

আহমদ মমতাজ ও রাইহান নাসরিন রচিত শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের এক বর্ণনায় শেখ হাসিনার পূর্বে শেখ ফজিলাতুননেছা’র ঔরসে এক পুত্র সন্তান জন্ম হয়ে মারা গিয়েছিল। নিচে শেখ মুজিবুর রহমানের সন্তানসন্ততি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা স্মরণ রাখার সুবিধার্থে শর্টনোট আকারে উপস্থাপন করা হলো:

নাম ও ছবি

শর্টনোট


শেখ হাসিনা

বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

শর্টনোট: 
  • বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম সন্তান।
  • তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক নিবাস গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তাঁর পরিবারের সদস্যরা আদর করে তাঁকে হাসু নামে ডাকতেন।
  • শেখ হাসিনার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়।
  • ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকার টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
  • ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকার আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
  • তিনি ১৯৬৭ সালে ঢাকার বকশী বাজারস্থ তৎকালীন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজটির বর্তমান নাম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়।
  • তিনি ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে উক্ত কলেজের ছাত্রসংসদের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
  • পরবর্তীতে তিনি একই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রথমে সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
  • তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি. এ ডিগ্রী লাভ করেন।
  • তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন।
  • ১৯৬৭ সালের ১৭ই নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর কারাবন্দি অবস্থায় শেখ ফজিলাতুননেছার তত্ত্বাবধানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।
  • তিনি ১৯৮৬-১৯৮৭, ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন।
  • তিনি ১৯৯৬-২০০১, ২০০৯-২০১৪, ২০১৪-২০১৯, ২০১৯-২০২৪ মেয়াদে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
  • তিনি টানা চতুর্থ মেয়াদে ২০২৪ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার মহান দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
  • তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
  • তাঁর প্রথম সন্তানের নাম সজীব ওয়াজেদ জয়।
  • সজিব ওয়াজেদ জয় একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্য গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।
  • সজিব ওয়াজেদ জয় ভারতের নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ হতে স্নাতক পাস করেন। তারপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এ্যট আর্লিংটন থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
  • বর্তমানে সজিব ওয়াজেদ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
  • শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
  • সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্ম ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর।
  • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সনস্তত্বে (স্কুল সাইকোলজি) বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন।
  • সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের তিন কন্যা এবং এক ছেলে।
  • সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ। তিনি সারা বিশ্বেই অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে এবং তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসনও তিনি।

শেখ কামাল

বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

শর্টনোট:
  • শেখ কামাল হলেন শেখ মুজিব ও শেখ ফজিলাতুননেছা দম্পতির জেষ্ঠ্য পুত্র (দ্বিতীয় সন্তান)।
  • তিনি ১৯৪৯ সালের ০৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে বি. এ (অনার্স) পাস করেন।
  • তিনি ছায়ানটে সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন।
  • তিনি মঞ্চনাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একনিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন। ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
  • শৈশব থেকেই খেলাধুলায় প্রচন্ড উৎসাহী শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
  • ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদানীন্তন নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব দবির উদ্দিনের কন্যা সুলতানা খুকুর সাথে তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।
  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁকেও হত্যা করা হয়।

শেখ জামাল

বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

শর্টনোট:
  • শেখ মুজিবুর ও শেখ ফজিলাতুননেছার দ্বিতীয় পুত্র (তৃতীয় সন্তান) শেখ জামাল।
  • তিনি ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি শাহীন স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন।
  • ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন।
  • তিনি ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক ক্লাসে লেখাপড়ার সময় যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ টিটোর আমন্ত্রণে সে দেশে পড়াশোনা ও সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ নিতে যান।
  • ভষার অসুবিধার কারণে প্রেসিডেন্ট টিটোর পরামর্শে তিনি ইংল্যান্ডের স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারি একাডেমিতে ভর্তি হন।
  • সেখানে তিনি নিজের খরচ চালানোর জন্য সেলফরিজ দোকানে সেলসম্যানের চাকরি নেন।
  • লন্ডনের স্যান্ডহার্স্ট আর্মি একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এলে তাঁর পোস্টিং হয় ঢাকা সেনানিবাস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে।
  • ১৯৭৫ সালের ১৭ জুলাই ফুফাতো বোন পারভীন রোজীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

শেখ রেহানা

বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

শর্টনোট:
  • শেখ মুজিব ও শেখ ফজিলাতুননেছা দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা ও চতুর্থ সন্তান হচ্ছেন শেখ রেহেনা।
  • তিনি ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৎকালীন মিটফোর্ড হাসপাতালে (বর্তমান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি শাহীন স্কুলে থেকে মেট্রিক পাস করেন এবং মেধাতালিকা নারীদের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেন।
  • শেখ রেহানার স্বামীর নাম শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস (AIS) বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
  • শেখ রেহানা এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জননী।
  • শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ১৯৮০ সালের ২১ মে জন্মগ্রহণ করেন।
  • শেখ রেহানার কন্যাদ্বয়ের নাম টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক।

শেখ রাসেল

বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

শর্টনোট:
  • বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় পুত্র এবং কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল।
  • তিনি ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু ভবন, ধানমন্ডি, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় মাত্র ১০ বছর বয়সী ছোট্ট রাসেলকেও হত্যা করা হয়। সেই সময় তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর_ধানমন্ডির_৩২_নম্বর_বাড়ি_এবং_তাঁর_০৫_সন্তান_পরিচিতি

বঙ্গবন্ধুর আত্মীয় স্বজন

নাম ও ছবি

শর্টনোট


ফাতেমা বেগম
শর্টনোট:
  • ফাতেমা বেগম হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন।
  • মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়া এলাকার এক জমিদার পরিবারের সন্তান নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর সাথে তার বিয়ে হয়।
  • ফাতেমা বেগমের দেবর বাদশা মিয়া ১৯৪৬ সালে মাদারীপুরের সংসদ সদস্য ছিলেন।
  • বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ও ফাতেমা বেগমের ছেলে ইলিয়াস আহম্মদ চৌধুরী মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসন থেকে ১৯৭০ (পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য), ১৯৭৩ সালে তৎকালীন ফরিদপুর-১৩ আসন থেকে এবং ১৯৯১ সালে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
  • বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে ইলিয়াস আহম্মদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁর বড় ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মাদারীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
  • ইলিয়াস আহম্মদ চৌধুরীর ছোট ছেলে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

শেখ আছিয়া বেগম
শর্টনোট:
  • বঙ্গবন্ধুর মেজো বোনের নাম শেখ আছিয়া বেগম।
  • তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির মা।
  • গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার শেখ নুরুল হকের সাথে তার বিয়ে হয়।

শেখ আমেনা বেগম
শর্টনোট:
  • শেখ আমেনা বেগম বঙ্গবন্ধুর সেজো বোন।
  • বরিশাল নিবাসী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের সাথে বঙ্গবন্ধুর সেজো বোন শেখ আমেনা বেগমের বিয়ে হয়।
  • আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
  • বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ শেখ আমেনা বেগম ও আবদুর রব সেরনিয়াবাত দম্পতির সন্তান।

শেখ খোদেজা বেগম লিপি
শর্টনোট:
  • শেখ খোদেজা বেগম লিপি শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট বোন।
  • গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর এলাকার সাইদ হোসেন নামক এক সরকারি চাকরিজীবীর সাথে বিয়ে হয় শেখ খোদেজা বেগম লিপির।

শেখ আবু নাসের
শর্টনোট:
  • শেখ আবু নাসের ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই।
  • তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন।
  • ব্যবসায়ের কারণে তিনি খুলনায় বসবাস করতেন।
  • শেখ আবু নাসেরের পুত্রের নাম শেখ হেলাল উদ্দিন।
  • শেখ হেলাল উদ্দিন বাঘেরহাট-১ আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

শেখ ফজলুল হক মণি
শর্টনোট:
  • শেখ ফজলুল হক মণি বঙ্গবন্ধুর মেজো বোন শেখ আছিয়া বেগমের পুত্র।
  • তিনি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ০৪ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিস ভারতের গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
  • ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
  • তিনি ১৯৫৬ সালে ঢাকা নবকুমার স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৮ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ থেকে আই.এ, ১৯৬০ সালে বরিশাল বি. এম কলেজ থেকে বি. এ এবং ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম. এ এবং পরবর্তীতে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।
  • তিনি ১৯৬০-১৯৬৩ সালে ছাত্রলীগের নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
  • ১৯৬২ সালের হামুদুর রহমানের গণবিরোধী শিক্ষানীতি ও সরকারের দমন নীতির প্রতিবাদে ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে তদানীন্তন গভর্নর মোনায়েম খানের হাত থেকে ডিগ্রি সার্টিফিকেট গ্রহণ না করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর এম.এ ডিগ্রি কেড়ে নেয়।
  • ডিগ্রি কেড়ে নেয়ায় মণির মন্তব্য ছিল “ডিগ্রি কেড়ে নিতে পারে কিন্তু বিদ্যাতো কেড়ে নিতে পারবে না।”
  • ১৯৭১ সালে শেখ ফজলুল হক মণির নেতৃত্বে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়।
  • মুজিব বাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি।
  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁকেও হত্যা করা হয়।
  • সেই দিন শেখ ফজলুল হক মণির দুই পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ ও কনিষ্ঠ পুত্র শেখ ফজলে নূর তাপস অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম
শর্টনোট:
  • বঙ্গবন্ধুর মেজো বোন শেখ আছিয়া বেগমের পুত্র ও শেখ ফজলুল হক মণির ভাই শেখ ফজলুল হরিম সেলিম।
  • তিনি ১৯৪৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তার পিতার নাম শেখ নুরুল হক ও মাতার নাম আছিয়া বেগম।
  • তিনি ১৯৬৩ সালে খুলনার জোসেফস হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৫ সালে ঢাকার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।
  • তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭১ সালে ডিপ্লোমা-ইন-স্ট্যাটিসটিক্‌স ডিগ্রি লাভ করেন।
  • শেখ ফজলুল করিম সেলিম ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ মেয়াদে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
  • তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।

ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
শর্টনোট:
  • শেখ ফজলে নূর তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে।
  • তিনি ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন।
  • তার পিতার নাম শেখ ফজলুল হক মণি ও মাতার নাম আরজু মণি।
  • ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় শেখ ফজলুল হক মণিকেও হত্যা করলে খাটের আড়ালে লুকিয়ে থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শেখ ফজলে নূর তাপস ও তার ভাই শেখ ফজলে নূর শামস তাঁদের পিতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এর তত্ত্বাবধানে লালিত পালিত হন।
  • শেখ ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের টানা ২য় মেয়াদের মেয়র।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু কে ছিলেন

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু ছিলেন পাকিস্তানের ৫ম প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৩৯ সালে তৎকালীন যুক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শের-ই বাংলা এ. কে ফজলুল হক এবং তাঁর মন্ত্রীসভার খাদ্য মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জ পরিদর্শনে গেলে ঘটনাক্রমে সেখানেই কিশোর শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাঁদের পরিচয় হয়।

শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দলবল নিয়ে স্কুলঘর সংস্কারের দাবিতে এ.কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সামনে উপস্থিত হলে তাঁর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে সোহেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবুর রহমানকে গোপালগঞ্জে মুসলিম লীগের শাখা এবং মুসলিম ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪২ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হলে সেখানেই যুক্ত বাংলার অগ্রণী মুসলিম নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন এবং তাঁর ছত্রছায়ায় সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়ি পড়েন। সেই থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হিসেবে অভিহিত করা হয়।

লেখকের মন্তব্য

৭৫’এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের অপরাজনীতির শিকার হয়ে বাড়িটি বেদখল হয়ে যায়। বহু চড়াই উৎরাই ডিঙ্গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়িটি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। পবর্তীতে ১৯৯৪ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সন্তানদের স্মৃতিকে সমুন্নত রাখতে বাড়িটিকে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে’ রূপান্তর করেন।

বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি, তাঁর সন্তানসন্তুতি কিংবা তাঁর আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কিত আরও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে কমেন্ট বক্সে আপনার সুচিন্তিত মতামত আশা করছি। সেই সাথে উপরোক্ত আর্টিকেলে কোনো প্রকার ভুলত্রুটি দৃষ্টিগোচর হলে তা সংশোধনে আপনার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার শুভাকাঙ্খীদের নিকট শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।



তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, Quora, প্রতিদিনের সংবাদ, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারগারের রোজনামচা’, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ড. মোহা. এমরান হোসেন রচিত ‘বঙ্গবন্ধু, বঙ্গভাষা ও বঙ্গমুক্তি’  গ্রন্থসহ বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করেনি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।

comment url