গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ এবং গরুর দুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি

গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ প্রয়োগ করে দুধ বাড়ানো গেলেও দুধের পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখতে প্রত্যেক খামারীর উচিত প্রাকৃতিক উপায়ে দুধ বৃদ্ধির কর্মকৌশল অনুসরণ করা। তাছাড়া দুগ্ধজাত খামারের মুখ্য বিষয় দুধ উৎপাদন হলেও উৎপাদিত দুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রত্যেক খামারীকে গরুর দুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ধারণা রাখা আবশ্যক।
গরুর_দুধ_উৎপাদন_বৃদ্ধির_ঔষধ_এবং_গরুর_দুধ_সংরক্ষণ_পদ্ধতি
গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে উল্লেখযোগ্য কিছু ইনজেকশন, পাউডার ও ট্যাবলেট রয়েছে যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া কিছু ভিটামিন পাউডার ও ট্যাবলেট আছে যেগুলো দুগ্ধবতী গাভীকে রেগুলার খাওয়ানো উচিত।

ভূমিকা

দুগ্ধজাত খামারের প্রধান সম্পদ হলো দুগ্ধবতী গাভী ও বাছুর এবং দুধ হলো খামারের অর্থনীতির মূল উৎস। তাই একজন খামারীকে দুগ্ধজাত খামার ব্যবস্থাপনায় সফল হতে যেমন গাভী ও বাছুরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে তেমনি খামারে উৎপাদিত দুধের পরিমাণ ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে উৎপাদিত দুধ বাজারজাতকরণের পূর্বে কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাস্তুরাইজের মাধ্যমে দুধের গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। 

গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি, রক্ষণ ও হ্রাস

গাভীর বাচ্চা প্রসবের পরপরই গাভীর দুধ উৎপাদন শুরু হয়। শুরুর পর থেকে দুধ উৎপাদন, উৎপাদন ক্ষমতা রক্ষণ ও দুধ উৎপাদন হ্রাসের জন্য কতিপয় পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি: দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গাভীর শরীরের অন্তর্নিহিত কিছু শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে তা আলোচনা করা হলো:
  • পশ্চাৎ পিটুইটারী গ্রন্থির অক্সিটোসিন হরমোন প্রধানত দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধ নিঃসরণে সহায়তা করে।
  • সম্মুখ পিটুইটারী গ্রন্থির কতিপয় হরমোন যেমন- ল্যাকটোজেন বা প্রোল্যাকটিন প্রত্যক্ষভাবে এবং অ্যাড্রিনো-কর্টিকোট্রাপিক হরমোন, থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন, সোমাটোট্রপিন হরমোন প্রভৃতি দুগ্ধ উৎপাদনে পরোক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে।
  • অ্যাডিনো কর্টিকোট্রাপিক হরমোন নিজে কার্যত: দুগ্ধক্ষর সাময়িকভাব আংশিক হ্রাস করে। কিন্তু পরক্ষণই এই হরমোন অ্যাড্রেনাল গ্রন্থিকে উত্তেজিত করে কর্টিসোল ও ডি-অক্সি-কর্টিসোল অ্যালডেস্ট্রেরন ক্ষরণের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
  • থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন দ্বারা উত্তেজিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরিত হয় যা দৈহিক কার্যাদি ত্বরান্বিত করে দুগ্ধ উৎপাদনে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে।
  • থাইরক্সিন হরমোন আয়োডিনযুক্ত একটি আমিষ পদার্থ। তাই স্বাভাবিক কারণেই আয়োডিনযুক্ত কেসিন দেহে ইনকেশন করলে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
  • প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির প্যারাথহরমোন দেহের ক্যালসিয়াম বিপাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
দুধ উৎপাদন রক্ষণ: দুধ উৎপাদন প্রক্রিয়াকে স্থিতিশীল রাখতে নিম্নোক্ত কাজগুলো সহায়ক:
  • দুগ্ধ দোহন বা দুগ্ধ নিঃসরণ জনিত শিহরণ।
  • দুগ্ধ ক্ষরণের জন্য ওলানের অভ্যন্তরের চাপ।
  • নিয়মিত ও স্বাভাবিক দুধ দোহন।
দুগ্ধ উৎপাদন হ্রাস: প্রধানত নিম্নোক্ত কারণে গাভীর দুগ্ধ উৎপাদন হ্রাস পায়-
  • নিয়মিত দুধ দোহন প্রক্রিয়ায় ব্যত্যয় ঘটলে দুগ্ধ উৎপাদন হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, একাধারে কিছুদিন দুধ দোহন বন্ধ রাখলে দুধ উৎপাদন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।
  • গর্ভধারণের কারণে জরায়ু ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় এবং দুগ্ধ ক্ষরণ হ্রাস পায়।
  • গর্ভফুলের হরমোন দুধ উৎপাদনের মাত্রা হ্রাস করে।
  • গর্ভবতী গাভীর ডিম্বাশয়ের কর্পাস লিউটিয়ামের প্রজেস্টেরন হরমোনের আধিক্য দুধ উৎপাদন হ্রাস করে।
  • ডিম্বাশয়ের ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্যের জন্য গাভী গরম হয় এবং দুগ্ধ উৎপাদন কমে যায়।

গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ

গাভীর অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ওলানে দুধ থাকলেও নামে না কিংবা হঠাৎ করে দুধ কমে যায়। এক্ষেত্রে গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে কেন গাভীর দুধ কমে গেছে তা নির্ণয় করা একান্ত জরুরী। সাধারণত নিম্নোক্ত কারণে গাভীর দুধে উৎপাদন কমে যেতে পারে:
  • প্রথম বাচ্চা দেওয়ার সময় বাচ্চার মৃত্যু ঘটলে।
  • গোশালা পরিবর্তন করলে।
  • স্থান ও মালিকের পরিবর্তন হলে।
  • খাদ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে।
  • বাচ্চা হওয়ার পর গর্ভফুল বা Placenta গাভীতে খেয়ে নিলে।
গরুর_দুধ_উৎপাদন_বৃদ্ধির_ঔষধ_এবং_গরুর_দুধ_সংরক্ষণ_পদ্ধতি
গাভীর ইতিহাস শুনে, ওলান দেখে এবং দুধ কতটুকু হয় তা জেনে দুধ কমে যাওয়ার সমস্যা নির্ণয় করতে হয়। নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো থেকে বুঝা যায় যে গাভীর দুধ উৎপাদন কমে গেছে এবং একটা সময় দুধ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
  • ওলান দেখতে অস্বাভাবিক বড় মনে হবে।
  • গাভী কিছুটা অস্বস্তি বোধ করবে।
  • কলস্ট্রাম দুধ অনেক বের হওয়ার পর ওলান আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাবে।
  • দুধ কম দিবে।
  • বাছুর পর্যাপ্ত দুধ পাবে না।
দুধ না নামা বা না হওয়া প্রাণির দুই উপায়ে চিকিৎসা করা যায়। গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে ওরাল ডিবি ভিটামিন অথবা ইনজেকশনের যেকোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে প্রাণির অবশ্যই দুধের পরিমাণ বাড়বে। নিচে মাঝারি অথবা গাভীর জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে ঔষধ প্রয়োগ করলে গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে:

গাভীর দুধ বৃদ্ধির ভিটামিন পাউডারের নাম

  • ক্যালফসটনিক পাউডার ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Calphostonic Powder, ACI)
  • ডিবি-ভিট পাউডার ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (DB-Vitamin, Square)
  • রেনাভিট-ডিবি ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Renavit-DB, Renata)
  • পাউডার ভিটামিক্স ডিবি ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Powder Vitamix DB, ACME)
  • ভিটামিক্স ডিবি সুপার ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Vitamix DB Super, ACMe)
  • পাউডার মেগাভিট-ডিবি ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Powder Megavit-DB, Alanco)
  • এডিভিট-ডিবি (Adivit-DB, FnF)
  • এসিভিট ডিবি ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Acivit-DB, ACI)
  • এসিভিট ডিবি গোল্ড (Acivit-DB Gold, ACI)
  • রেনাভিট ডিবি প্লাস (Renavit-DB+, Renata)
  • জি. এম টনিক ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (GM Tonic)
  • মিল্ক টনিক ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (Milk Tonic, Speed)
  • ডিবি ভিট ১০০ গ্রাম, ১ কেজি (DB Vit, Navana)
সেবনবিধি: উপরোক্ত ঔষুধের যে কোন একটি সংকর জাতের গাভীকে প্রতিদিন ২০ হতে ৪০ গ্রাম বা ৪ চা চামচ হতে ৮ চা চামচ এক বারে বা দু’বারে দানাদার খাদ্যের সঙ্গে কমপক্ষে ১৫-৩০ দিন খাওয়াতে হবে। তবে দুধের প্রাণিকে সবসময় ডিবি ভিটামিন খাওয়ানো উচিত। উক্ত ঔষধগুলোর যেকোনো একটি ছাগলকেও ১-২ চামচ একই নিয়মে খাওয়ানো যায়।

গাভীর দুধ বৃদ্ধির ভিটামিন ট্যাবলেটের নাম

  • ট্যাবলেট এ-মিল্ক ৫ গ্রাম (Tab. A-Milk, ACME)
  • ট্যাবলেট এসিক্যাল ৫ গ্রাম ((Tab. Acical, ACI)
  • ট্যাবলেট ফসক্যাল পিডি ৫ গ্রাম (Tab. Phoscal PD, Opsonin)
  • ট্যাবলেট প্রোমিল্ক ৫ গ্রাম (Tab. Promilk, Square)
সেবনবিধি: উপরোক্ত ট্যাবলেটগুলোর যেকোনো একটি টানা ১ মাস প্রতিদিন ২-৪টি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। ছাগলের দুধ বৃদ্ধিতেও প্রতিদিন ১টি করে ট্যাবলেট খাওয়ানো যেতে পারে।

গাভীর দুধ বৃদ্ধির ইনজেকশনের নাম

ক্যালসিয়াম জাতীয় ইনজেকশন:
  • Inj. Magical-28 250, 500 ml (SKF)
  • Inj. Decam 200 ml (ACME)
  • Inj. Cal-D-Mag Vet 200, 400 (Renata)
  • Inj. Calci Max 100 ml (ACI)
  • Inj. Magacal-D 200 ml (Opsonin)
  • Inj. Mifenil Vet 100 ml (Square)
প্রয়োগবিধি: বড় প্রাণির জন্য 5% Dextrose Saline (Opsonin) এর সাথে উপরের যেকোন একটি Injection (২০০-৪০০ মি.লি) যোগ করে শিরায় দিতে হবে।

Oxytocin Synth গ্রুপের ঔষধ:
  • Inj. Topin Vet 10ml
  • Inj. Oxcin (Techno)
  • Inj. Intertocin-S (Intervet)
  • Inj. Pitosin (Chemist)
প্রয়োগবিধি: উপরের যে কোন একটি ৫-১০ মিলি স্যালাইনের সাথে মিশিয়ে প্রাণীকে দিতে হবে।

ক্লোরোপ্লোমাজিন জাতীয় ঔষধ:
  • Inj. Opsonil 2ml (Opsonin)
প্রয়োগবিধি: ৬-৮ মিলি ঔষধ ২-৩ দিন পশুর মাংসপেশীতে দিতে হবে।
  • Tab. Largactil 100 mg (Sanofi-Aventis)
সেবনবিধি: ৫-৬টি ট্যাবলেট প্রতিদিন ২ বার করে মোট ২-৩ দিন খাওয়াতে হবে।

কথায় আছে, ঔষুধের চেয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা উত্তম। গাভীর দুধ যেন না কমে যায় সেজন্য নিম্নোক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থাগুলো গুরুত্বের সাথে অনুসরণ করতে হবে:
  • গাভীর বাচ্চা যেন না মারা যায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
  • দুধ দোহনের জন্য গোয়ালা (যে দুধ দোহায়) পরিবর্তন করা যাবে না।
  • বাচ্চা হওয়ার পর গাভী যেন গর্ভফুল না খেয়ে ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিটি গাভীকে কমপক্ষে ২-৪ কেজি দানাদার খাদ্য খাওয়াতে হবে।
  • দুগ্ধবতী গাভীর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।

গরুর দুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি

নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত দুধকে খাওয়ার উপযোগী রাখতে তা পঁচনমুক্ত রাখার প্রক্রিয়াই হলো দুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি। দুধের রাসায়নিক গঠনের পরির্বতন খুব সহজেই ঘটে। তাই ডিপ ফ্রিজে দুধ জমালে দুধে জীবাণুর বংশবৃদ্ধি হয় না ঠিক, তবে দুধের রাসায়নিক বন্ধন ভেঙ্গে এর গুণগত মান কিছুটা হ্রাস পায়। আবার দুধকে ৪ ঘণ্টা পর পর ২০ মিনিট করে ফুটালে প্রায় সব রকম জীবাণুমুক্ত থাকে। তবে এতেও দুধের পুষ্টিগুণ কিছুটা কমে যায়।
গরুর_দুধ_উৎপাদন_বৃদ্ধির_ঔষধ_এবং_গরুর_দুধ_সংরক্ষণ_পদ্ধতি
সাধারণত বাংলাদেশের সর্বত্রই কাঁচা দুধ বিক্রিয় করা হয়। কিন্তু দুগ্ধজাত খামারে অধিক পরিমাণে দুধ উৎপন্ন হয় বিধায় সবসময় কাঁচা দুধ বিক্রয় করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই দুগ্ধজাত খামারে দুধ উৎপাদন শেষে তা সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী। দুধকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করলে দুধে অবস্থিত জীবাণুসমূহ মারা যায়। এই জীবাণুমুক্ত দুধকে ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে দুধ ভালো থাকে এবং এর পুষ্টিগুণও অক্ষুন্ন থাকে।

দুধকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গরম করে জীবানুমুক্ত করার বিশেষ প্রক্রিয়াকে পাস্তুরাইজেশন বলা হয়। এই পদ্ধতিতে দুধকে ১০-১৫ সেকেন্ড ৬০-৬২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ দিলে এবং সঙ্গে সঙ্গে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে ফেললে দুধের যাবতীয় ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। উক্ত জীবাণুমুক্ত দুধ ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখলে তা ৫-৭ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। সাধারণত তিনভাবে দুধ পাস্তুরাইজেশন করা যায়, যেমন-
  • অল্প তাপে অনেক সময়: এই পদ্ধতিতে ৬২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট সময় দুধ গরম করা হয়, তারপর ৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করা যায়।
  • বেশি তাপ কম সময়: এই পদ্ধতিতে ৭২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৫ সেকেন্ড সময় দুধ গরম করে পরবর্তীতে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করা যায়।
  • অত্যধিক তাপমাত্রায়: এ পদ্ধতিতে ১৩৭.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপে দুধকে ২ সেকেন্ড সময় গরম করার ফলে সব ধরনের জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। তারপর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দুধ সংরক্ষণ করা যায়।

গরুর দুধের বিশুদ্ধতা পরীক্ষার উপায়

আমাদের দেশে দুধে ভেজাল দেওয়া বহুল প্রচলিত একটি সামাজিক দুর্নীতি। দুধে পানি মিশিয়ে খুব সহজেই বিক্রেতারা এই অপকর্মে লিপ্ত হয়। সাধারণ ভোক্তারা গরুর দুধের বিশুদ্ধতা পরীক্ষার উপায় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা না থাকায় প্রতিনিয়ত তারা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। তাই বিক্রেতা ও ভোক্তা উভয়কেই গরুর দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের উপায় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান থাকা উচিত।

দুধে ভেজাল মেশানোর অনৈতিক পন্থা: বিভিন্নভাবে দুধে ভেজাল দেওয়া যায়। যেমন-
  • সবচেয়ে সহজ পন্থা হচ্ছে দুধের সাথে পানি মিশিয়ে।
  • খাঁটি দুধের সাথে ননিবিহীন দুধ (মাখনবিহীন) মিশিয়ে।
  • খাঁটি দুধ হতে মাখন ভাগ আলাদা করে।
  • খাঁটি দুধের সাথে পাউডার দুধ মিশিয়ে। খাঁটি দুধের সাথে খাঁটি দুধের পাউডার বা ননিবিহীন পাউডার দুধ ও পানি মিশিয়ে দুধের পরিমাণ অনেক বাড়ানো যায়।
  • গাভীর দুধের সাথে অন্য পশুর দুধ মিশিয়ে।
ভেজাল নির্ণয় করার উপায়: পানিজাতীয় বস্তুর আপেক্ষিক গুরুত্ব বেশি থাকে। পানির আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০০। অন্যদিকে গাভীর খাঁটি দুধের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০৩২-১.০৩৪। ল্যাকটোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে যেকোন তরল পদার্থের আপেক্ষিক গুরুত্ব মাপা যায়। নিচে গাভীর খাঁটি দুধের আপেক্ষিক গুরুত্ব নির্ণয়ের কৌশল উপস্থাপন করা হলো:

ল্যাকটোমিটার যন্ত্রটি দুধে ডুবাতে হবে। দুধের মধ্যে ল্যাকটোমিটার কতটুকু ডুবলো সেটি দুধের উপরের স্তরের সাথে ল্যাকটোমিটারের দাগ দেখে বুঝা যাবে। ল্যাকটোমিটার রিডিং সাধারণত ২৫-৩৫ পর্যন্ত হয়ে থাকে। ল্যাকটোমিটার রিডিং (L.R) নেওয়ার পর নিচের ফর্মূলা মোতাবেক দুধের আপেক্ষিক গুরুত্ব বের করতে হবে।
গরুর দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ের সূত্র
এখানে খাঁটি দুধের স্বাভাবিক আপেক্ষিক গুরুত্ব অপেক্ষা প্রাপ্ত আপেক্ষিক গুরুত্ব কম। এতে অনুমান করা যায় যে, দুধে পানি মেশানো হয়েছে কিংবা অন্য কোনো ভেজাল আছে।

গাভীর দুধ দোহনের সময় করণীয়

গাভীর ওলান থেকে দুধ বের করার পদ্ধতিকে দুধ দোহন বলে। দুধ দোহনে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়োজন হয়। গোয়ালার নিকট দুধ দোহন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য হলেও গাভীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে এবং দুধ দোহনের অসাবধানতার কারণে দুধ নষ্ট হতে পারে। অসাবধানভাবে দুধ দোহনের সময় অসংখ্য ক্ষতিকর জীবাণু তরল দুধে সংক্রমিত হয়। ফলে অতি আদর্শ খাদ্য দুধে জীবাণু এত দ্রুত বৃদ্ধি পায় যে দুধের গুণাগুণ অতি সহজেই নষ্ট হয়ে যায়।
দুধ দোহনের প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত যদি স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাগুলো অবলম্বন করা হয় তাহলে এ মূল্যবান আদর্শ খাদ্যের পুষ্টিগুণ অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব। সাধারণত আমাদের অনভিজ্ঞতা বা অবহলোর জন্য এ আদর্শ খাদ্যের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে থাকে। গাভী থেকে পরিমিত দুধ সংগ্রহ করার জন্য দুধ দোহন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক। গাভীর ওলানে যথেষ্ট দুধ থাকা সত্ত্বেও দুধ দোহন পদ্ধতি না জানার ফলে ঠিকমত এবং সঠিক পরিমান দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।

একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে দ্রুত দুধ দোহন করা যেমন দোহনকারীর নিকট আনন্দদায়ক তেমনি গাভীর নিকট পছন্দনীয়। সুষ্ঠুভাবে দুধ দোহনের জন্য অত্যাবশ্যক কার্যক্রম এবং সঠিক নিময় সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
উপযুক্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থা:
  • আরামদায়ক ও সন্তুষ্ট অবস্থায় দুধ দোহন করা উত্তম। ঘরের পরিবেশ শান্ত ও নিরুদ্রপ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
  • উচ্চ শব্দ, কুকুর-বিড়াল, আগন্তুক, অযথা চিকিৎসা ও অন্যান্য উন্মত্ততা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
দুধ দোহনের নিয়মনীতি:
  • গাভী যেহেতু অভ্যাসে বশীভূত হয় সেহেতু দুধ দোহনের একটি তালিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
  • নিয়মিত বিরতি সহকারে সাধারণত দিনে দুবার গাভীর দুধ দোহন করা বাঞ্ছনীয়। সাধারণত ১২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর দুধ দোহন করা উত্তম। তবে ১১ ঘণ্টা বা ১৩ ঘণ্টার শিডিউলও করা যেতে পারে।
  • অধিক দুধ উৎপাদনকারী বিদেশী জাতের গাভী ২৪ ঘণ্টায় দুধ দোহনের সময় পরিবর্তনের ফলে দুধের মোট উৎপাদন হ্রাস পায়।
দুগ্ধবাতী গাভী ও দোহনকারীর প্রস্তুতি:
  • দুধ দোহনের জন্য দোহাল ও গাভী একে অপরের পছন্দনীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। দুধ দোহণের পূর্বে কোন ক্রমে গাভীকে আঘাত করা কিংবা বিরক্ত করা উচিত নয়। কারণ গাভীকে আঘাত করলে কিংবা বিরক্ত করলে গাভী ঠিকমত দুধ নামায় না।
  • দুধ দোহনের পূর্বে গাভীর ওলান ও বাঁট জীবাণুনাশক পদার্থ মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া উত্তম।
  • গাভীর উলান জীবাণুমুক্ত করতে যে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হয় তা শুধুমাত্র গাভীল ওলানকে জীবাণুমুক্তই করে না, বরং ওলানে দুধ নামাতেও অত্যধিক সাহায্য করে।
  • ওলান পরিস্কার করার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দুধ নামে। তাই ওলান মুছার পরপরই দুধ দোহন করতে হবে।
  • দুধ দোহনকারী নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধান করবে। চুল টুপি বা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখবে। দুধ দোহনকারীর নোংরা স্বভাব যেমন- থুথু ফেলা, নাক ডাকা, নাক ঝাড়া ও দুধ দোহনের সময় কথা বলা গাভীর নিকট বিরক্তকর।
পরিস্কার দুধ দোহন পাত্রের ব্যবহার:
  • দুধ দোহন পাত্র অবশ্যই পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া বড় মুখ বিশিষ্ট খোলা বালতি অপেক্ষা গম্বুজ আকৃতির দুধ দোহন পাত্র অধিক উপযোগী।
  • প্রতিবার দুধ দোহনের পর পাত্রটি প্রথমে গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে উত্তমরূপে পরিস্কার করতে হবে। পরিস্কার শেষে পাত্রটি র‌্যাকে উল্টিয়ে রাখতে হবে যেন শুকিয়ে যায়।
দ্রুত দুধ দোহন:
  • বাঁটে দুধ নামার ৩-৭ মিনিটের মধ্য ওলানের সমস্ত দুধ দোহন করে নেওয়া প্রয়োজন।
  • ওলানের সমস্ত দুধ দোহন না করলে ওলানে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট দুধ জীবানুর বংশ বিস্তার ঘটিয়ে গাভীর ঠুনকো রোগ বা ওলান প্রদাহ রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
দোহনকালে গাভীকে খাওয়ানো:
  • গাভীর দৈনিক রেশনের দানাদার খাদ্যের কিছু অংশ দুধ দোহনের সময় খেতে দিয়ে গাভীকে ব্যস্ত রাখলে ওলানের সমস্ত দুধ দোহন সহজ হয়।
দুধ দোহনের ক্রম পদ্ধতি:
  • ম্যাস্টাইটস রোগে আক্রান্ত গাভী থেকে সুস্থ সুস্থ গাভীতে জীবাণু ছড়ায়। তাই প্রথকে সুস্থ গাভী ও পরে রোগাক্রান্ত গাভী দোহন করা উচিত।
  • ম্যাস্টাইটিস রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গাভীর পালে একটি সুনির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে দুধ দোহন করা বাঞ্ছনীয়। যেমন- (১) ম্যাস্টাইটিস রোগ মুক্ত সম্পূর্ণ সুস্থ বকনা গাভী (২) ম্যাস্টাইটিস রোগ মুক্ত সম্পূর্ণ সুস্থ গাভী, (৩) যেসব গাভী পূর্বে ম্যাস্টাইটিস রোগে ভুগেছে কিন্তু এখন রোগমুক্ত এমন গাভী, (৪) সন্দেহযুক্ত অস্বাভাবিক দুধ উৎপাদনকারী গাভী এবং (৫) সর্বশেষ রোগাক্রান্ত গাভীর দুধ দোহন করতে হবে।
বকনা গাভীর প্রথম দুধ দোহন:
  • গাভীর প্রথম বাচ্চার পরে বাঁট খাটো থাকে ফলে টিপকাপ পরানো অসুবিধা হয়।
  • বকনের প্রথম বাচ্চা দেবার পর ওলানে দুধ তুলে রাখে। সেক্ষেত্রে দুধ দোহনের ২-৩ মিনিট পূর্বে ২ মি.লি. অক্সিটোসিন ইনজেকশন মাংসে দিলে কার্যকর হয়।
  • দুই বা তিনদিন এভাবে অক্সিটোসিন ইনজেকশন দিলে স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং সঠিকভাবে দুধ দোহানো যায়।

গাভীর দুধ দোহন পদ্ধতি

প্রধানত বাছুরের সহায়তায় হাতের মাধ্যমে ও দুধ দোহনের যন্ত্রের সাহায্যে গাভীর দুধ দোহন করা যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে হাতের সাহায্যে দুধ দোহন করা হয়। এছাড়া বৃহৎ খামারে বিদেশী জাতের গাভী দোহনের জন্য যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়।
হাতের সাহায্যে দুধ দোহন পদ্ধতি: নিচের হাতের সাহায্যে দুধ দোহন পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো-
  • গাভীর সাধারণত বামপাশ থেকে দুধ দোহন করা হয়। বাঁটে দুধ আসার সাথে সাথে দুধ দোহন কাজ শুরু করতে হয়।
  • সাধারণত স্ট্রাইপিং এবং ফুল হ্যান্ড পদ্ধতিতে তর্জনী এবং বৃদ্ধাঙ্গুলের সাহায্যে দুধ দোহন করা যায়। ফুল হ্যান্ড পদ্ধতিতে হাতের পাঁচ আঙ্গুল ও হাতের তালুর চাপের মাধ্যমে দুধ দোহন করা হয়।
  • অনেক গোয়ালা বৃদ্ধাঙ্গুল বাঁকা করে দুধ দোহন করে। এ পদ্ধতিতে দুধ দোহনের ফলে বাঁটে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
  • অজ্ঞতাবশত গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ গোয়ালা দোহন কাজে সুবিধার জন্য আঙ্গুলে দুধ, পানি বা থুথু লাগিয়ে দুধ দোহন করে। এইভাবে দুধ দোহালে বাটে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শুষ্ক আঙ্গুলে দুধ দোহন সর্বোত্তম। তবে বাঁটে ক্ষত থাকলে জীবানুনাশক মলম বা ক্রিম ব্যবহার করে দুধ দোহন করা যায়।
নিম্নোক্ত দুই পদ্ধতিতে যন্ত্রের সাহায্যে দুধ দোহন করা যায়। যথা-
স্ট্রিপ কাপ: গাভীর বাটে দুধ দোহানের যন্ত্রটি টিট কাপস লাগানোর পূর্বে একটি টিট কাপের সাহায্যে নিম্নোক্ত তিনটি কারণে প্রতিটি বাঁট থেকে দুধ টেনে দেখা প্রয়োজন।
  • বাঁটের বেষ্টক পেশী উম্মুক্ত করে ফলে দ্রুত দুধ বের হয়।
  • দুধকে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে।
  • অস্বাভাবিক দুধের উপস্থিত সনাক্ত করা যায়। যে গাভীর অস্বাভাবিক দুধ হবে সে গাভীকে ম্যাস্টাইটন রোগের জন পরীক্ষা করে দুধ দোহাতে হবে।
স্ট্রিপিং পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে-
  • বাঁটে ক্ষত বা অস্বাভাবিক বাঁটের গঠন ছাড়া এক হাতে টিট কাপ এবং অন্য হাতে টিট ধরে টিট কাপের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে।
  • বাঁটের দুধ দোহন শেষ হবার সাথে সাথে টিটকাপ খুলে নিতে হবে।
  • দুধ দোহনের পরও টিট কাপ বাঁটে থাকলে দীর্ঘায়িত ভ্যাকিয়াম বাঁটে আঘাত বা ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

দুগ্ধজাত খামারে সফল হতে হলে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে খামার পরিচালিত করতে হবে। দুগ্ধবতী গাভীকে পর্যাপ্তপরিমাণে সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। সেই সাথে দুগ্ধবতী গাভীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে দুধ দোহনের আগে ও পরে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করা আবশ্যক।

ডেইরী ফার্মের খামারীদের উদ্দেশ্যে রচিত এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো নির্ভরযোগ্য উৎস হতে সংগ্রহ, সংকলন ও উপস্থাপন করা হয়েছে। তবুও কোনো তথ্য সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন হলে কমেন্টবক্সে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর অনুরোধ রইলো। এছাড়া আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে আপনার পরিচিত খামারীদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো।

যদিও আর্টিকেলে উল্লেখিত গরুর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির যাবতীয় তথ্যাবলী নির্ভরযাগ্য উৎস হতে সংগৃহিত তবুও বাস্তবে এই ব্যবস্থাপত্র প্রয়োগের পূর্বে ভালো কোনো পশু চিকিৎসক কিংবা অভিজ্ঞ কোনো খামারীর পরামর্শ নেওয়উচিত। অন্যথায় পশুর মধ্যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার MrDorpon কর্তৃপক্ষ বহন করবে না। ধন্যবাদ।



তথ্যসূত্র: উকিপিডিয়া, এগ্রোবাংলা, ড. মাহবুব মোস্তফা রচিত আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন, ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, অধ্যাপক, এনিমেল হাজবেন্ড্রী এণ্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক রচিত এবং নূর পাবলিকেশন্স, বাংলাবাজার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত “লাভজনক পশু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” ও “গৃহপালিত পশু-পাখির রোগব্যাধি ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি” বই । খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে বই তিনটি আপনার সংরক্ষণে রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করেনি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।

comment url