গরুর খামার তৈরির নকশা এবং গরুর বাসস্থান তৈরির নিয়ম

গরুর খামার তৈরির নকশা হচ্ছে খামার ব্যবস্থাপনার পূর্ব পরিকল্পনার একটি অংশ। গোশালা নির্মাণের পূর্বে অবশ্যই একজন উদ্যোক্তাকে প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে খামার ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপই হচ্ছে গরুর বাসস্থান তৈরীর নিময় সম্পর্কে সম্মক ধারণা নিয়ে গোশালা নির্মাণের দিকে অগ্রসর হওয়া।
গরুর_খামার_তৈরির_নকশা_এবং_গরুর_বাসস্থান_তৈরির_নিয়ম
আধুনিক পদ্ধতির খামার ব্যবস্থাপনায় সফল হতে হলে গরুর বাসস্থানের প্রকারভেদ এবং কোন খামারের জন্য কোন পদ্ধতির গোশালা উপযোগী সে সম্পর্কে সম্মক ধারণা রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধাবিত হওয়া উচিত।

ভূমিকা

যেকোন কাজ পরিকল্পনাবিহীন করলে প্রকল্পে বিনিয়োগ খরচ যেমন বেশি হয় তেমনি মাঝপথে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তেমনি গরুর বাসস্থান নির্মানের পূর্বেও গরুর খামার তৈরির নকশা অঙ্কনপূর্বক গোশালা নির্মাণ কাজ শুরু করা উচিত। অন্যথায় নিকট ভবিষ্যতে খামার ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে কিংবা গোশালা ভেঙ্গে নতুন গোশালা নির্মাণের প্রয়োজন হতে পারে।
নকশা এঁকে পরিকল্পনামাফিক কাজ করলে এবং ভবিষ্যতে খামারের পরিধি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে তখন উক্ত গরুর খামার তৈরির নকশা অনুসরণপূর্বক যেকোন সময় অল্প খরচে গরুর বাসস্থানকে সম্প্রসারণ করা যাবে। আধুনিক পদ্ধতিতে খামার করতে চাইলে অবশ্যই আধুনিক গোশালা নির্মাণ করতে হবে। আশাকরি আধুনিক ও একটি আদর্শ গোশালা নির্মাণে আর্টিকেলটি সহায়ক হবে।

গরুর বাসস্থান তৈরি করা হয় কেন?

লাভজনক খামার ব্যবস্থাপনার পূর্বশর্তই হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে মানসম্পন্ন গোশালা নির্মাণ। সাধারণত একজন খামারী নিম্নোক্ত কারণগুলো বিবেচনায় রেখে গরুর বাসস্থান নির্মাণ করে থাকেন:
  • গরুর বাসস্থান নির্মাণের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু লালন পালন করা।
  • গবাদি পশুকে আরামদায়ক অবস্থা নিশ্চিত করতে।
  • বন্য হিংস্র জীবজন্তু ও পশুপাখির হাত হতে গাভীকে রক্ষা করতে।
  • চোর-ডাকাত হতে পশুকে রক্ষা করতে।
  • গবাদিপশুর সঠিক পরিচর্যা, খাদ্য সরবরাহ, কৃত্রিম প্রজনন ঘটানো ও অন্যান্য কার্যাদি সঠিকভাবে পরিচালনা করা।
  • খাদ্যের অপচয় রোধ করা ও খাদ্যের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
  • সঠিক পদ্ধতিতে গরুর বাস্থান নির্মাণ করলে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যায়।
  • পশুকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • প্রতিটি পশুর প্রতি আলাদাভাবে বিশেষ নজর দেওয়া সম্ভব হয়।
  • পশুকে বিভিন্ন প্রতিকূল আবহাওয়া থেকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়।
  • গবাদিপশুর গোবল ও মলমূত্রের সুষ্ঠ ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
  • রুটিন মাফিক পশুকে পরিদর্শন করা যায়।
  • পশুর রোগ নির্ণয় ও অসুস্থ পশুকে চিকিৎসা প্রদান সহজ হয়।

গরুর বাসস্থান কোথাায় হওয়া উচিত

খামারের স্থান নির্বাচনে যেসব বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে সেগুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:
  • অপেক্ষাকৃত উঁচু ও শুষ্কভূমি: গাভীর খামার স্থাপনের জন্য উঁচু ও শুষ্ক ভূমি নির্বাচন করতে হবে যেন বৃষ্টির পানি ও খামারের অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ সহজে নিষ্কাশন করা যায় এবং খামারটি শুষ্ক ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে।
  • খামারের অবকাঠানো নির্মাণ: তুলনামূলকভাবে উর্বর ভূমি বাদ দিয়ে অনুর্বর ভূমিতে গোশালা নির্মাণ করতে হবে। খামার ঘর হওয়া উচিত দক্ষিণমূখী যেন খুব সহজে প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস ও সূর্যের কিরণ পায়। এতে ঘর স্যাঁতসেঁতে হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
  • সম্প্রসারণ: ভবিষ্যতে গাভীর খামার সম্প্রসারণ করার জন্য আশেপাশে জায়গা থাকতে হবে। তাই খামারের জন্য অপেক্ষাকৃত অল্পমূল্যে ও সহজে জমি পাওয়া যায় সেরূপ স্থান নির্বাচন করতে হবে।
  • জনবসতি হতে দূরে: জনবসতি হতে দূরে গাভীর খামার স্থাপন করা উত্তম। এতে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
  • যোগাযোগ ব্যবস্থা: খামারের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হতে হবে। গাভীর খামার প্রধান রাস্তা হতে দূরে হতে হবে। তবে ৫০ মিটারের অতিরিক্ত দূরে নয়।
  • বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা: খামারের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যাতে খামারে বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা করা যায়।
  • পানি সরবরাহের ব্যবস্থা: অতি সহজেই এবং অল্প খরচে প্রচুর পরিস্কার বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় এমন স্থানে দুগ্ধ খামার নির্বাচন করা উচিত।
  • খাদ্যের প্রাপ্যতা: যে এলাকায় পশুর খাদ্য সহজে ও অল্পমূল্যে পাওয়া যায় এবং কাঁচা ঘাস উৎপাদন করা যায় এমন স্থান খামার স্থাপনের জন্য নির্বাচন করতে হবে।
  • পণ্যের চাহিদা ও বাজার ব্যবস্থা: যেখানে খামারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা আছে এবং সহজে বাজারজাতকরণের সুবিধা আছে এমন স্থানে খামার স্থাপন করা উচিত।
  • পরিবেশ: বন্য জীবজন্তু বা অবাঞ্চিত লোকজন দ্বারা খামার ক্ষতিগ্রস্থ হবে না এমন স্থান খামারের জন্য নির্বাচন করতে হবে। তাছাড়া খামারের আশপাশে জলাভূমি বা হাওড় না থাকাই উত্তম।

গরুর বাসস্থান কেমন হওয়া উচিত

গবাদিপশুর পাসস্থান নির্মাণকালে নিম্নোক্ত কতিপয় বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হয়:
  • পশুর সংখ্যা, বয়স, প্রকৃতি অনুযায়ী বাসস্থান নির্মাণ করতে হবে।
  • পশুর জন্য আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যরক্ষার উপযোগী হওয়া বাঞ্চনীয়।
  • পানি ও বৈদ্যুতিক আলোক সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • প্রয়োজনবোধে বাসস্থান সম্প্রসারণের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • নির্মাণ অবশ্যই মজবুত ও টেকসই হতে হবে।
  • বাসস্থানের পাশে ঘাস উৎপাদনের জমি থাকতে হবে।
  • গোবর ও অন্যান্য আবর্জনা নিস্কাশনেরে ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • গবাদি পশুর ঘর নির্মাণের জন্য উঁচু সমতলভূমি যেখানে বৃষ্টির পানি জমে না এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে। ঘরটি মোটামোটি খোলামেলা জায়গায় দক্ষিণমুখী করে তৈরী করার চেষ্টা করতে হবে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। তীব্র তাপদাহ থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে কিছুটা সুরক্ষা পেতে ঘরের আশেপাশে কিছু গাছ থাকা উত্তম।
  • ঘরটি টিনের চালা দ্বারা তৈরী করা হলে টিনের চালার নিচে বাঁশের বা চাটাইয়ের সিলিং দিতে হবে। যাতে টিনের গরমে গরুর অসুবিধা না হয়। এ জাতীয় ঘরের বেড়া বা দেয়াল দেওয়ার প্রয়োজ হয় না। চারদিকে খোলা রাখতে হয়। তবে চোর বা জন্তু জানোয়ারের উপদ্রব হতে রক্ষা করার জন্য চারিদিকে বাঁশের খোপ খোপ বেড়া বা মেঝে থেকে ১ মিটার উঁচু লোহা জালের বেড়া দেওয়া যায়।

একটি গরুর জন্য কতটুকু জায়গা প্রয়োজন

খামার ব্যবস্থাপনায় গোশালা নির্মানের পূর্বে প্রতিটি পশুর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রেখে খামার ঘর স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন। এতে যেমন পশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় থাকে তেমনি খামারের স্থান সংকুলান লাঘব হয়। লাভজনক খামার ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি গরুর জন্য কতটুকু জায়গা রেখে খামার স্থাপন করতে হবে তা সবিস্তারে নিচে আলোচনা করা হলো।
গরুর_খামার_তৈরির_নকশা_এবং_গরুর_বাসস্থান_তৈরির_নিয়ম
আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত খামার ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি গরুর জন্য লম্বালম্বিভাবে (দৈর্ঘ্য) সর্বনিম্ন ৫ ফুট এবং সর্বোচ্চ ৫.৫০ এর বেশি হওয়ার প্রয়োজন নেই। অনুরূপভাবে পাশের দিকে (প্রস্থ) সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ৩.৫০ এর বেশি হওয়ার প্রয়োজন নেই। গরুর খাবার পাত্রের দৈর্ঘ্য হওয়া উচিত ২ ফুট এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য নালা রাখতে হবে ১ ফুট বিশিষ্ট।

ছক-১: প্রাথমিক ধারণার পেতে নিচে বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশুর প্রতিটির জন্য মেঝের ও খাবার পাত্রের জায়গার পরিমাণ উল্লেখ করা হলো-

পশুর বিবরণ

প্রতিটি পশুর জন্য মেঝের প্রয়োজন (বর্গফুট)

প্রতিটি পশুর জন্য খাদ্য পাত্রের দৈর্ঘ্য (ইঞ্চি)

আবদ্ধ জায়গা

খোলা জায়গা

গাভী ২০-৩০ ৮০-১০০ ২০-২৪
মহিষ ২৫-৩৫ ৮০-১০০ ২৪-৩০
বাড়ন্ত গরু ১৫-২০ ৫০-৬০ ১৫-২০
বাছুর ০৭-১০ ২০-৩৫ ১০-১৫
বকনা ১৮-২০ ৬০-৭৫ ১৮-২০
গর্ভবতী গাভী ১০০-১২০ ১৮০-২০০ ২৪-৩০
ষাঁড় গরু ১২০-১৪০ ২০০-২৫০ ২৪-৩০

  • ছক-২: একসারি বিশিষ্ট গোশালায় বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশুর জায়গার পরিমাণ নিম্নরূপ:

পশু

দাঁড়াবার জায়গা (দৈর্ঘ্য)

পাশের জায়গা (প্রস্থ)

খাবার পাত্র

নালা

সে.মি.

ফুট

সে.মি.

ফুট

সে.মি.

ফুট

সে.মি.

ফুট

গরু

১৬৫

৫.৭৫

১০৫

৩.৩৫

৭৫

২.৬০

৩০

১.০০

মহিষ

১৮০

৬.২৫

১২০

৪.২০

৭৫

২.৬০

৩০

১.০০


  • ছক-৩: দ্বি-সারি বিশিষ্ট মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালার জায়গার পরিমাণ নিম্নরূপ:

 

বাম পাশের সারি

খাদ্য সরবরাহের রাস্তা

ডান পাশের সারি

 

পশু

পশু প্রবেশের রাস্তা

নালা

পশুর স্টল

খাবার ও পানির পাত্র

খাবার ও পানির পাত্র

পশুর স্টল

নালা

পশু প্রবেশের রাস্তা

সর্বমোট

গরু ৩ ফুট ০১ ফুট ৫ ফুট ২ ফুট ৪ ফুট ২ ফুট ৫ ফুট ১ ফুট ৩ ফুট ২৬ ফুট
প্রতিটি স্টলে গরুর জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৬ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা গরুর পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। গরুর সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী গরুর সংখ্যাকে ৩ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে। 
মহিষ ০১ ফুট ৩ ফুট ৫.৫ ফুট ২ ফুট ৪ ফুট ২ ফুট ৫.৫ ফুট ১ ফুট ৩ ফুট ২৭ ফুট
প্রতিটি মহিষের জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট জায়গা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ৮৭.৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৭ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা মহিষের পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। মহিষের সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী মহিষের সংখ্যাকে ৩.৫ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে।

  • ছক-৪: দ্বি-সারি বিশিষ্ট পিছোপিছি পদ্ধতির গোশালার জায়গার পরিমাণ নিম্নরূপ:

 

বাম পাশের সারি

পয়ঃনিষ্কাশন ও পশু প্রবেশের রাস্তা

ডান পাশের সারি

 

পশু

খাদ্য সরবরাহের রাস্তা

খাবার ও পানির পাত্র

পশু স্টল

নালা

নালা

পশু স্টল

খাবার ও পানির পাত্র

খাদ্য সরবরাহের রাস্তা

সর্বমোট

গরু ৩ ফুট ২ ফুট ৫ ফুট ১ ফুট ৬ ফুট ১ ফুট ৫ ফুট ২ ফুট ৩ ফুট ২৮ ফুট
প্রতিটি স্টলে গরুর জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩ = ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৮ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা গরুর পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। গরুর সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী গরুর সংখ্যাকে ৩ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে। 
মহিষ ৩ ফুট ২ ফুট ৫.৫ ফুট ১ ফুট ৬ ফুট ১ ফুট ৫.৫ ফুট ২ ফুট ৩ ফুট ২৯ ফুট
প্রতিটি মহিষের জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট জায়গা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩.৫ = ৮৭.৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৯ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা মহিষের পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। মহিষের সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী মহিষের সংখ্যাকে ৩.৫ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে।

  • ছক-৫: বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশুর খাদ্য ও পানির পাত্রের মাপ নিম্নরূপ:

পশু

প্রতিটি পশুর জন্য প্রয়োজন (সেন্টিমিটার)

ভোজন পাত্র

পানির পাত্র

চওড়া

গভীরতা

দেয়ালের উচ্চতা

গরু ৬০-৭০ ৬০-৭৫ ৬০ ৪০ ৫০
মহিষ ৬০-৭০ ৬০-৭৪ ৬০ ৪০ ৫০
বাড়ন্ত গরু ৫০-৬০ ৫০-৬৫ ৫০ ৩০ ৩৫
বাছুর ৪০-৫০ ৪০-৫০ ৪০ ১৫ ২০

গরুর বাসস্থান কত প্রকার ও কি কি?

পশুর বাসগৃহ সাধারণত আবহাওয়া, ভৌগলিক অবস্থান, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য অবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়। তাই বিভিন্ন অঞ্চল বা দেশের পশুর বাসগৃহ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আমাদের দেশের জন্য উপযোগী প্রধানত দু’ধরনের পশুগৃহ নির্মাণ করা যায়।
  • উদাম ঘর
  • বাঁধা ঘর

গরুর ‘উদাম ঘর’ কী

এ পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসব ও দুধ দোহনের সময় ছাড়া দিন ও রাত্রি গবাদিপশুকে দেয়াল বেষ্টিত খোলা জায়গায় পালন করা হয়। তবে প্রতিকূল অবস্থায় যেমন- ঝড়, বৃষ্টি, গরম ঠান্ডা ইত্যাদির সময় পশুর নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য খোলা স্থান সংলগ্ন ঘর সংযুক্ত থাকে। এ ধরনের বাসগৃহে একটি খাদ্য পাত্র ও পানি পাত্র সকল পশুর জন্য উন্মুক্ত থাকে। বয়স্ক বাছুর কিংবা দুধ দিচ্ছে না এমন গাভীর জন্য উদাম ঘর পদ্ধতি সুবিধাজনক।
উদাম ঘর এর সুবিধা ও অসুবিধা

পশুর উদাম ঘরের সুবিধা

পশুর উদাম ঘরের অসুবিধা

  • উদামঘর নির্মাণ খরচ কম এবং প্রয়োজনে সহজেই সম্প্রসারণ করা যায়।
  • পশু স্বাচ্ছন্দে ঘোরাফেরা করতে পারে ফলে ব্যায়ামের কাজ হয়।
  • ওলান ও পায়ে আঘাত লাগার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • জরুরী অবস্থায় পরিকল্পিত সংখ্যার ১০-১২ গুণ পশুকে রাখা যায়।
  • গরম হওয়া (Heat এ আসা) পশুকে সহজেই সনাক্ত করা যায়।
  • একই খাদ্য ও পানীয় সকল পশুর জন্য সমভাবে উন্মুক্ত থাকে।
  • গাভী বাঁধা ঘর পদ্ধতি অপেক্ষা ৫-১০% দুধ বেশী দেয়।
  • পশু পর্যাপ্ত পরিমাণে খোলা আলো বাতাস পায়।
  • পশুর মারামারি করার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
  • অপেক্ষাকৃত দুর্বল পশু সবল পশুর সাথে প্রতিযোগীতা করে খেতে পারে না ফলে দুর্বল পশু আরও দুর্বল হয়।
  • গাভীর দুধ দোহনের জন্য পৃথক ঘরের প্রয়োজন হয়।
  • গাভীর গোবর ও মলমূত্রের সুষ্ঠু ব্যবহার করা যায় না।
  • বাইরের রোগজীবানু সহজেই পশুর মধ্যে প্রবেশ করে।

গরুর উদাম ঘর নির্মাণ পদ্ধতি

উদাম ঘরটি হবে খোলামেলা, যেখানে পশু মুক্তভাবে বিচরণ করবে। এই পদ্ধতিতে একটি আলাদা ঘর থাকবে যা দুধ দোহনের সময়, প্রসবকালীন সময়, গাভীকে পরিস্কার করার সময় এবং বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গাভীকে রাখা যায়। ঘরের মেঝে নির্মাণ করতে হবে সিমেন্ট ও ইট দিয়ে যেন তা পরিস্কার করতে সুবিধা হয়। মেঝেটি অবশ্যই অমসৃন হতে হবে যেন পশু পিছলে না যায়।
ঘরের ড্রেনটি অগভীর হতে হবে এবং সহজে পরিবর্তন করা যায় এমন টাইল্‌স দ্বারা তৈরী করতে হবে। ড্রেনটি ১০ ফুট পর পর ১ ইঞ্চি করে ঢালু করতে হবে যেন পশুর গোবর বা মূত্র ড্রেনে জমে না থাকে। ঘরের ছাদ সিমেন্ট ইট বা অ্যাসবেসটস দ্বারা তৈরী করতে হবে। খোলা জায়গাগুলোতে ছায়া প্রদানকারী গাছ লাগানো যেতে পারে যা অতি ঠান্ডা বা গরমের প্রকোপ থেকে পশুকে রক্ষা করবে।

গরুর ‘বাঁধা ঘর’ কী?

বর্তমানে আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে যত খামার করা হচ্ছে তার অধিকাংশ খামারই ‘বাঁধাঘর’ পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে গরুর গলায় দড়ি বা লোহার জিজ্ঞির দিয়ে সীমাবদ্ধ স্থানে বেঁধে পালন করা হয়। একই স্থানে গাভীর দুধ দোহন ও খাবার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
পশুর বাঁধা ঘর এর সুবিধা ও অসুবিধা

পশুর বাঁধা ঘরের সুবিধা

পশুর বাঁধা ঘরের অসুবিধা

  • প্রতিকূল আবহাওয়ায় পশু নিরাপদে থাকে।
  • পশুর বিছানার জন্য ব্যয় কম হয়।
  • গাভীর বাধাস্থানে দুধ দোহন সহজ হয়।
  • কৃত্রিম প্রজননের জন্য বেশ সুবিধাজনক।
  • গ্রীষ্ম ও শীত প্রধান দেশে বা অঞ্চলে এ পদ্ধতি বেশ উপযোগী।
  • তুলনামূলকভাবে নির্মাণ খরচ উদামঘর অপেক্ষা প্রায় দ্বিগুণ।
  • রক্ষণাবেক্ষন খরচ অনেক বেশী।
  • পশুর স্বেচ্ছায় ঘোরাফেরা করার কোন ব্যবস্থা থাকে না। 
  • বর্ষাকালে গোশালার বায়ু আর্দ্র ও স্যাঁতসেতে হয়ে যায়।
  • পশু প্রাকৃতিক সবুজ পরিবেশ ও আলো-বাতাস হতে বঞ্চিত হয়।
  • গরম হওয়া গাভীকে (হিট ডিটেকশন) চিহ্নিত করতে অসুবিধা হয়।

বাঁধা ঘর পদ্ধতিতে গোশালার প্রকারভেদ

  • একসারি বিশিষ্ট গোশালা [Single Row System Cowshed]
  • দ্বিসারি বিশিষ্ট গোশালা [Double Row System Cowshed]
একসারি বিশিষ্ট গোশালা: সাধারণত অল্প সংখ্যক (১০টি বা তার কম) গরু হলে এ পদ্ধতিতে গোশালা নির্মাণ যথাযোগ্য। পশু সংখ্যা অনুসারে জায়গার পরিমাণ নির্ণয় করতে হয়। প্রতিটি পশুকে পৃথক রাখার জন্য লোহার তৈরী জি. আই. পাইপ দিয়ে পার্টিশন দিতে হবে। সাধারণত পার্টিশনের পাইপ লম্বায় ৯০ সে.মি. (৩ ফুট) ও উচ্চতায় ৪৫ সে.মি. (১.৫ ফুট) হওয়া প্রয়োজন। গোশালা হবে একচালা বিশিষ্ট ঘর। এই ঘরের ছাদ প্রায় ৩০০ সে.মি. (১০ ফুট) উঁচু করতে হবে।

দ্বি-সারি বিশিষ্ট গোশালা: বাণিজ্যিকভাবে অধিক সংখ্যক পশু পালনের জন্য দ্বি-সারি বিশিষ্ট গোশালা প্রয়োজন হয়। এই ধরনের গোশালায় পশুকে দুভাবে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়। যথা-
  • মুখোমুখি বা অন্তর্মূখী পদ্ধতি
  • পিছোপিছি বা বহিঃর্মূখী পদ্ধতি

মুখোমুখি বা অন্তর্মূখী পদ্ধতির গোশালা কেমন হয়?

মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালায় পশুর সম্মুখভাগ খামারের অন্তর্মূখী থাকে। এ পদ্ধতির গোশালায় পশুকে দুইসারিতে মুখোমুখি অবস্থানে রাখা হয়। উভয় সারির সামনে খাবার পাত্রের ব্যবস্থা থাকে। উভয় সারির মাঝখানে পরিদর্শকদের চলাচল ও খাদ্য সরবরাহের জন্য রাস্তা রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে পশু স্টলে প্রবেশ করানোর জন্য প্রতিটি সারির পিছন দিকে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে এবং তারও পিছনে পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য জায়গা রেখে মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালা নির্মাণ করা হয়।
মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালার সুবিধা ও অসুবিধা

মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালার সুবিধা

মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালার অসুবিধা

  • দেখতে ভালো লাগে
  • পশু নিজের জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
  • নালায় সূর্যালোক পড়ায় খুব দ্রুত রোগজীবানু ধ্বংস হয়।
  • এক সাথে দু’সারি পশুকে খাবার সরবরাহ সুবিধাজনক।
  • দুধ দোহনের সময় অধিকতর আলো পাওয়া যায়।
  • অপ্রশস্থ জায়গায় এ ধরনের গোশালা সুবিধাজনক।
  • গাভীকে দুধদোহন ও পরিস্কার করতে অসুবিধা হয়। 
  • এক গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস অন্য গরুর গায়ে লাগে।
  • গরু বাহির থেকে সরাসরি বাতাস গ্রহণ করতে পারে না। 
  • পশুর পশ্চাৎভাগ সহজে চোখে পড়ে না তাই পশ্চাৎভাগের বিভিন্ন রোগ, ক্ষত বা পরিবর্তন চোখে পড়ে না। 

পিছোপিছি বা বহিঃর্মূখী পদ্ধতির গোশালা কেমন হয়?

এই পদ্ধতিতে পশুর সম্মুখভাগ বহিমুর্খী থাকে। এ ধরনের গোশালায় দুসারির মাঝখানে পয়নিষ্কাশন ও গরু স্টলে প্রবেশ করাতে উভয় সারির জন্য কমন জায়গা থাকে। প্রতিটি সারির বাহিরের দিকে স্টলের সম্মুখে খাবার পাত্রের ব্যবস্থা থাকে এবং তারও সামনে পরিদর্শকের চলাচল ও খাবার সরবরাহের জন্য রাস্তা রাখতে হয়।

পিছোপিছি পদ্ধতির গোশালার সুবিধা

পিছোপিছি পদ্ধতির গোশালার অসুবিধা

  • গোশালা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সময় কম লাগে।
  • গোবর ও আবর্জনা পরিস্কার, পশুর শরীর পরিস্কার ও দুধ দোহনের জন্য মাঝখানের সাধারণ পথটি বেশ উপযোগী।
  • এক গরুর শ্বাস-প্রশ্বাস অন্য গরুর গায়ে লাগে না।
  • গরু বাইরের দিক থেকে বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে পারে যা স্বাস্থ্য সম্মত।
  • এই পদ্ধতিতে পশুর সম্মুখ ভাগ ও পশ্চাৎভাগ উভয় পাশই সহজে দৃষ্টিগোচর হয়।
  • এক পশু থেকে অন্য পশুতে রোগ জীবানু ছড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
  • যেহেতু পিছোপিছি পদ্ধতিতে গরুর মাথাগুলি বিপরীত দিকে থাকে সেহেতু গরুর সম্মুখভাগ পরিদর্শন একটু কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হয়।
  • নিজ নিজ স্টরে প্রবেশ করাতে গরু গাদাগাদির সৃষ্টি করে। 
  • পয়ঃনালায় সূর্যালোক না পড়ায় রোগ জীবানু জন্ম নেয় এবং বিস্তার ঘটে।
  • খাবার সরবরাহে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়।
  • বাসস্থান তৈরীতে তুলনামূলকভাবে গরুপ্রতি জায়গা বেশী প্রয়োজন হয়। 

গরুর খামার তৈরির নকশা

আধুনিক পদ্ধতির খামার ব্যবস্থাপনায় মূলত বাঁধা ঘর পদ্ধতির দ্বি-সারি বিশিষ্ট গোশালাই বেশ জনপ্রিয় এরং প্রচলিত। নিচে বাঁধা ঘর পদ্ধতির দ্বি-সারি বিশিষ্ট গরুর খামার তৈরীর নকশা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট মাপসহ আলোচনা করা হলো:

মুখোমুখি বা অন্তর্মূখী পদ্ধতিতে গরুর খামার তৈরির নকশা

উভয় সারির মাঝখানে পরিদর্শকের চলাচল ও খাদ্য সরবরাহের জন্য ৪ ফুট বা ১২০ সে.মি. চওড়া রাস্তা থাকে। এই পদ্ধতিতে গরু দাঁড়ানোর জন্য লম্বালম্বিভাবে (দৈর্ঘ্য) ৫ ফুট এবং পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট রাখতে হবে। অনুরূপভাবে মহিষের খামারে পশু দাঁড়ানোর জন্য লম্বালম্বি ভাবে (দৈর্ঘ্য) ৫.৫ ফুট ফুট এবং পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট মাপের প্রতিটি স্টল তৈরী করতে হবে। প্রতিটি সাড়ির পিছন সাইডে স্টলে পশু ঢুকানোর জন্য ৩ ফুট জায়গা রাখতে হবে। তারও পিছনে পয়ঃনালীর জন্য ১ ফুট জায়গা রাখতে হবে। খাবার ও পানির পাত্রের জন্য প্রতিটি স্টলের সামনে ২ ফুট জায়গা থাকতে হবে।
উপরোক্ত বিবরণ অনুযায়ী মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালা নির্মাণ পদ্ধতিতে প্রতি এক জোড়া গরুর জন্য নিম্নোক্ত জায়গা থাকা আবশ্যক।

পশু

জায়গার পরিমাপ

সর্বমোট জায়গা

বামপাশের সারি

রাস্তা

ডানপাশের সারি

গরু নালা ০১ ফুট + গরু স্টলে প্রবেশের রাস্ত ০৩ ফুট + গরুর স্টলের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট + গরুর খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট পরিদর্শন ও খাদ্য সরবরাহের রাস্তা ৪ ফুট + গরুর খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + গরুর স্টলের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট + গরু স্টলে প্রবেশের রাস্ত ০৩ ফুট + নালা ০১ ফুট

গোশালার সর্বমোট প্রস্থ = ২৬ ফুট।

৫০টি গরুর গোশালার দৈর্ঘ্য ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ২৬ ফুট।

 

প্রতিটি স্টলে গরুর জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩ = ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৬ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা গরুর পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। গরুর সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী গরুর সংখ্যাকে ৩ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে। 
মহিষ নালা ০১ ফুট + মহিষ স্টলে প্রবেশের রাস্ত ৩ ফুট + মহিষ স্টলের দৈর্ঘ্য ৫.৫ ফুট + মহিষের খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট পরিদর্শন ও খাদ্য সরবরাহের রাস্তা ৪ ফুট + মহিষের খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + মহিষের স্টলের দৈর্ঘ্য ৫.৫ ফুট + মহিষ স্টলে প্রবেশের রাস্ত ০৩ ফুট + নালা ০১ ফুট

গোশালার সর্বমোট প্রস্থ = ২৭ ফুট।

অতএব, ৫০টি মহিষের গোশালার দৈর্ঘ্য 87.5 ফুট এবং প্রস্থ ২৭ ফুট।

 

প্রতিটি মহিষের জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট জায়গা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩.৫ = ৮৭.৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৭ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা মহিষের পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। মহিষের সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী মহিষের সংখ্যাকে ৩.৫ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে।

পিছোপিছি বা বহিঃর্মূখী পদ্ধতিতে গরুর খামার তৈরির নকশা

পিছোপিছি পদ্ধতির গোশালায় দুই সারির মাঝখানে পশু স্টলে প্রবেশ করানোর জন্য ৬ ফুট জায়গা রাখতে হবে। উক্ত প্রবেশ রাস্তার দুই পাশে ১ ফুট করে পয়ঃনালার জন্য জায়গা রাখতে হবে। মুখোমুখি পদ্ধতির গোশালার ন্যায় এই পদ্ধতিতেও প্রতিটি গরুর স্টলের জন্য লম্বালম্বিভাবে (দৈর্ঘ্য) ৫ ফুট এবং পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট জায়গা রাখতে হবে। অনুরূপভাবে মহিষের জন্য লম্বালম্বিভাবে (দৈর্ঘ্য) ৫.৫ ফুট এবং পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রতিটি সারির সামনের দিকে খাবার ও পানির পাত্রের জন্য ২ ফুট এবং চলাচল, খাবার ও পানি সরবরাহের জন্য ৩ ফুট করে জায়গা রাখতে হবে।

পশু

জায়গার পরিমাপ

সর্বমোট জায়গা

বামপাশের সারি

রাস্তা

ডানপাশের সারি

গরুখাদ্য সরবরাহের রাস্তা ০৩ ফুট + গরুর খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + গরুর স্টলের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট + নালা ০১ ফুটপরিদর্শকের চলাচল, গরু স্টলে প্রবেশ করানো ও পয়ঃ নিষ্কাশনের জন্য রাস্তা ৬ ফুটনালা ০১ ফুট + গরুর স্টলের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট + গরুর খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + খাদ্য সরবরাহের রাস্তা ০৩ ফুট

গোশালার সর্বমোট প্রস্থ = ২৮ ফুট।

৫০টি গরুর গোশালার দৈর্ঘ্য ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট।

 

প্রতিটি স্টলে গরুর জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩ ফুট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩ = ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৮ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা গরুর পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। গরুর সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী গরুর সংখ্যাকে ৩ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে। 
মহিষখাদ্য সরবরাহের রাস্তা ০৩ ফুট + মহিষের খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + মহিষের স্টলের দৈর্ঘ্য ৫.৫ ফুট + নালা ০১ ফুটপরিদর্শকের চলাচল, মহিষ স্টলে প্রবেশ করানো ও পয়ঃ নিষ্কাশনের জন্য রাস্তা ৬ ফুটনালা ০১ ফুট + মহিষের স্টলের দৈর্ঘ্য ৫.৫ ফুট + মহিষের খাবার ও পানির পাত্রের জায়গা ২ ফুট + খাদ্য সরবরাহের রাস্তা ০৩ ফুট

গোশালার সর্বমোট প্রস্থ = ২৯ ফুট।

অতএব, ৫০টি মহিষের গোশালার দৈর্ঘ্য ৮৭. ৫ ফুট এবং প্রস্থ ২৯ ফুট।

 

প্রতিটি মহিষের জন্য পাশের দিকে (প্রস্থ) ৩.৫ ফুট জায়গা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ২৫ জোড়া (৫০টি) গরুর গোশালার সর্বমোট দৈর্ঘ্য হবে ২৫ x ৩.৫ = ৮৭.৫ ফুট এবং প্রস্থ হবে ২৯ ফুট। উল্লেখ্য যে, স্টল বা মহিষের পাশের (প্রস্থ) দিকটি পূর্ণাঙ্গ গোশালার জন্য দৈর্ঘ্য হিসেবে বিবেচিত। মহিষের সংখ্যা যতই হোক না কেন গোশালার প্রস্থের মাপের কোন পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র দৈর্ঘ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ইচ্ছানুযায়ী মহিষের সংখ্যাকে ৩.৫ দিয়ে গুণ করলে গোশালার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য পাওয়া যাবে।

গরুর_খামার_তৈরির_নকশা_এবং_গরুর_বাসস্থান_তৈরির_নিয়ম

গরুর বাসস্থান তৈরির নিয়ম /

বাঁধা ঘর পদ্ধতিতে গরুর বাসস্থান তৈরির নিয়ম

বর্তমানে বাংলাদেশে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে যেসকল খামার গুলো গড়ে উঠছে তার অধিকাংশ গোশালাই বাঁধা ঘর পদ্ধতিতে দ্বি-সারি বিশিষ্ট গোশালা নির্মাণ করা হচ্ছে। খামার ব্যবস্থাপনায় দুগ্ধজাত খামারের উদ্দেশ্যে পশুর বাসস্থান নির্মাণ করলে দুগ্ধজাত খামার সহ গরু মোটাতাজাকরণ ও প্রয়োজনবোধে কৃত্রিম প্রজননের জন্যও উক্ত বাসস্থান ব্যবহার করা যাবে। একটি গোশালার বিভিন্ন অংশ নির্মানের সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো নিম্নরূপ:
  • গোশালার দেয়াল নির্মাণ: গোশালার দেয়াল মাটি বা ইট দিয়ে তৈরি করা যায়। তবে পাকা দেয়াল অনেক ভালো। পাকা দেয়ালের ভিতরদিক সিমেন্ট দিয়ে ভালোভাবে প্লাস্টার করা উচিত। এতে পশুকে আক্রান্তকারী কীট-পতঙ্গ দেয়ালের ফাঁকফোকর না পেয়ে বাসা বাঁধতে পারে না। দেয়াল শুকনো থাকে। দেয়ালের কোণগুলো গোলাকৃতির করতে হয়। দেয়ালের উচ্চতা ৪-৫ ফুটের বেশি হওয়া উচিত নয়।
  • সাধারণত গোশালার ছাদ সিমেন্ট অথবা আয়রণ পিলারের উপর দেওয়া হয়। দেয়ালে উপর থেকে ছাদ পর্যন্ত বাকী অংশটুকু এসএস পাইপ বা টিএমটি বারের গ্রিল দিতে হবে অথবা বাঁশ দিয়ে তৈরী খোপ খোপ করে বেড়া দেওয়া যেতে পারে। এতে গোশালায় পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। যদি ছাদ পর্যন্ত দেওয়াল দেওয়া হয় তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর অন্তর ৪ x ৩ ফুট জানালা রাখতে হবে।
  • মেঝে নির্মাণ: গোশালায় ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে পাঁকা মেঝে তৈরী করতে হবে এবং অবশ্যই মেঝে অমসৃন হতে হবে যেন পশু পিছলে পড়ে না যায়। মেঝেটি ভোজন পাত্র হতে ১-১.৫ ইঞ্চি নিচু করতে হয়। মেঝেটি নালার দিকে সামান্য পরিমাণে ঢালু রাখতে হবে যেন পশুর মূত্র জমে না থাকে এবং সহজেই নালায় গড়িয়ে যায়। এছাড়া মেঝে একটু ঢালু থাকলে গোবর তোলার পর হুইপ পাই দিয়ে পানি দিলে খুব সহজেই মেঝে পরিস্কার হয়ে যায়।
  • ছাদ নির্মাণ: গোশালার ছাদ ছন, সিমেন্ট টিন, অ্যাসবেস্টস, টালি ইত্যাদি দ্বারা তৈরী করতে হবে। আয়রণ টিন ব্যবহার করা যাবে না কারণ এতে গোশালার ভেতরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় যা পশুর জন্য ক্ষতিকর। তবে আয়রণ টিন রঙ করে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই টিনের নিচে হিট প্রুফ ফোম, কাঠ, বাঁশ, পাট কাঠি বা খড়ের সিলিং ব্যবহার করতে হবে।
  • পয়ঃনিষ্কাশন নালা তৈরী: গবাদিপশুর মলমূত্র পরিস্কার করার জন্য নালা আবশ্যক। নালার শেষ প্রান্তে মলমূত্র সংগ্রহের জন্য একটি চৌবাচ্চা বা গর্তের প্রয়োজন। কেননা ঐসব গোবর ও মলমূত্র জৈবসার হিসেবে খুবই চাহিদাসম্পন্ন। নালাটি অবশ্যই চৌবাচ্চা বা গর্তের দিকে ঢালু রাখতে হবে যেন পানি দিলে খুব সহজেই পশুর মলমূত্র চৌবাচ্চায় গড়িয়ে যায়।
  • ভোজন পাত্র ও পানির পাত্র: পশুর ভোজন পাত্র ও পানি পানের পাত্র সিমেন্ট দিয়ে তৈরী করতে হবে। দুটি পাত্রই প্রতিটি স্টলের সামনে পাশাপাশি রাখতে হবে। পাত্রদুটিকে পশুর স্টল থেকে এমনভাবে ঘিরে রাখতে হবে যেন পশু খুব সহজেই খাবার খেতে পারে কিন্তু কোনোভাবেই যেন পশু ভোজন পাত্রের উপর না আসতে পারে।
  • দরজা নির্মাণ: একসারি বিশিষ্ট গোশালায় ৭ ফুট লম্বা এবং ৫ ফুট চওড়ার দরজা হলেও জলে কিন্তু দ্বি-সারি বিশিষ্ট গোশালায় কমপক্ষে ৮-৯ ফুট চওড়া দরজা প্রয়োজন। দরজাগুলো এমন হতে হবে যেন সেগুলি সম্পূর্ণ খুলে দিলে দেয়ালের সাথে লেগে থাকে।

একটি পূর্ণাঙ্গ খামারে গোশালার অন্যান্য ঘর

বাণিজ্যিক খামার ব্যবস্থাপনায় মূল গোশালার পাশাপাশি আরও কিছু ঘর থাকা আবশ্যক। নিচে সেগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
  • দুগ্ধ দোহনশালা: একটি পূর্ণাঙ্গ গোশালায় গাভীর দুগ্ধ দোহনের জন্য পৃথক দুগ্ধ দোহন ঘরের ব্যবস্থা করতে হয়। এটি সাধারণত উদাম ঘর পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। এই ঘরটি এমনভাবে তৈরী করা উচিত যেন সেখানে ময়লা বা ধূলোবালি প্রবেশ করতে না পারে। এই ঘরে দুগ্ধ দোহন ও দুগ্ধ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও যন্ত্রপাতি মজুদ থাকে।
  • প্রসূতি ঘর: গাভীর বাচ্চা প্রসবের জন্য প্রসবের ২-৩ সপ্তাহ পূর্ব থেকে গাভীকে যে ঘরে পৃথক করে রাখা হয় তাকে প্রসূতি ঘর বলে। সাধারণত প্রজননক্ষম গাভীর মোট সংখ্যার ৫ ভাগ প্রসূতিঘর থাকা আবশ্যক। এই ঘরে ৩ x ৪ মিটার অংশ আবৃত এবং ৩.৪ মিটার অংশ দেয়াল দিয়ে ঘেরা থাকে। ঘরের মেঝেতে খড় ও বিচালী দিয়ে বিছানা করা উচিত।
  • বাছুরের ঘর: দুধদোহন ঘরের পাশে বাছুরের ঘর থাকা প্রয়োজন। এতে বাছুর দিয়ে দুধ দোহন, বাছুরকে দুধ খাওয়ানো ও যত্ন নেওয়া সহজ হয়। বাছুরের সংখ্যা বেশি হলে বয়স অনুযায়ী পৃথক ঘর থাকা ভালো।
  • বকনের ঘর: বকনকে ছয়মাস বয়স থেকে প্রজননক্ষম হওয়া পর্যন্ত পৃথক ঘরে পালন করা ভালো। বকনের শেড শুষ্ক গাভীর শেডের পাশে হওয়া ভালো।
  • অসুস্থ পশুর ঘর: অসুস্থ পশুর ঘরটি অন্যান্য ঘর থেকে একটু দূরে স্থাপন করা উচিত। কারণ রোগাক্রান্ত পশু হতে রোগ জীবাণু অন্য সুস্থ পশুতে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। উক্ত ঘরের সাথে নর্দমা, নালা সবকিছুই পৃথক করা উচিত। সাধারণত এই ঘরটি ১৫ x ১০ ফুট মাপের হতে পারে।
  • ষাঁড়ের ঘর: সবসময় ষাঁড়ের আলাদা ঘর রাখতে হবে। প্রতিটি ষাঁড়ের জন্য পৃথক ঘর থাকতে হবে। সাধারণত ৫০টি প্রজননক্ষম গাভী ও বকনের জন্য ১টি ষাঁড় প্রয়োজন। ষাঁড়ের ঘরের ৩ x ৪ মিটার অংশ আবৃত এবং ১২০ বর্গমিটার অংশ খোলা থাকতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এই ঘরেও অন্যান্য ঘরের মত খাবার পাত্র ও পানির পাত্র রাখতে হবে। ষাঁড়ের ব্যায়ামের জন্য ২-৩ ফুট দেয়াল বা বাশের বেড়ো দিয়ে মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরটি এমনভাবে এমন জায়গায় তৈরী করতে হবে যেন ঐ স্থান থেকে ষাঁড় অন্যান্য পশুদের দেখতে পায়।

লেখকের মন্তব্য

আধুনিক পদ্ধতির খামার ব্যবস্থাপনার পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটি স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধক গোশালা নির্মাণ। তাই গোশালা নির্মাণের পূর্বে অবশ্যই একজন খামারীকে গরুর খামার তৈরীর নকশা এঁকে ইহা তৈরীর নিয়মাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় পশুকে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে খামারী নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। গরুর বেড়ে উঠায় দেখা দিতে পারে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা।

আশাকরি যারা আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশুর খামার করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে চান তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি খুবই সহায়ক হবে। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। এখানে কোনো ভুলত্রুটি থাকলে কিংবা কোনো তথ্য সংযোজনের প্রয়োজন হলে কমেন্টবক্সে আপনার সুচিন্তিত মতামত পেশ করুন।



তথ্যসূত্র: উকিপিডিয়া, এগ্রোবাংলা এবং ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, অধ্যাপক, এনিমেল হাজবেন্ড্রী এণ্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক রচিত এবং নূর পাবলিকেশন্স, বাংলাবাজার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত “লাভজনক পশু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” বই থেকে নেওয়া। খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে বইটি আপনার সংরক্ষণে রাখতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করেনি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।

comment url