গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি এবং কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা ও অসুবিধা
গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক সংকরায়নের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে প্রাণিসম্পদ অন্যতম অর্থনৈতিক নিয়ামক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা ও অসুবিধার প্রসঙ্গে সুবিধার পরিমাণই বেশি। আর অসুবিধা বলতে যা বুঝি তা কেবলই সীমাবদ্ধাতা।
গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো কম উৎপাদনশীল দেশী জাতের সাথে অধিক উৎপাদনশীল উন্নত জাতের বীজ সংকরায়নের মাধ্যমে দুধ ও মাংস উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো।
ভূমিকা
বর্তমানে গবাদিপশু পালন শুধুমাত্র দুধ ও মাংস উৎপাদনের জন্যই লাভজনক ব্যবসায় নয়, বরং আত্মকর্মসংস্থান ও জাতীয় শ্রম দক্ষতা উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। আত্মকর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিরসনে খামার ব্যবস্থাপনা অধিকক জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি। কৃত্রিম প্রজননের ফলে অধিক উৎপাদনশীল দুধ ও মাংস খামার ব্যবস্থাপনার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথকে সুগম করে এবং শিক্ষিত তরুণ বেকার যুবকরা অল্প সময়ে সফলকাম হতে পারে।
কৃত্রিম প্রজনন কি
কৃত্রিম প্রজননের ইংরেজী শব্দ হলো Artificial Insemination যা সংক্ষেপে AI (এআই) নামে পরিচিত। গবাদি পশুর বংশ বিস্তার ঘটে প্রজননের মাধ্যমে। যেকোনো স্ত্রী প্রাণীর গর্ভে ডিম্বানুর সাথে পুরুষ প্রাণীর শুক্রানুর মিলনের ফলে ঐ প্রজাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে পুরুষ প্রাণীর শুক্রানু যত ভালো জাতের হবে ঐ শ্রেণীর প্রাণীর জাত তত উন্নত হবে। অনুরূপভাবে উন্নত জাতের ষাঁড়ের সিমেন বা শুক্রানু উন্নত জাতের বাছুর উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গবাদি পশুর জাত উন্নয়নের লক্ষ্যে যৌন মিলন ব্যতীত কৃত্রিম উপায়ে স্ত্রী প্রাণীর জরায়ুতে পুরুষ প্রাণীর শুক্রানুর প্রবেশ ঘটিয়ে স্ত্রী প্রাণীর ভিতরে ফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে গর্ভাবস্থা অর্জন করার পদ্ধতিকে কৃত্রিম প্রজনন বলে। বাংলাদেশের মত ঘনবসিতপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে অধিক পরিমাণে মাংস, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে উন্নত জাতের গাবাদি পশুর বংশবিস্তারে কৃত্রিম প্রজনন আশীর্বাদস্বরূপ।
কৃত্রিম প্রজননের প্রধান উদ্দেশ্য
কৃত্রিম প্রজননের মুখ্য উদ্দেশ্যই হলো গবাদি পশুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে পশুর দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি। এছাড়া আরও কিছু উদ্দেশ্যে নিচে উল্লেখ করা হলো:
- বেশি উৎপাদনশীল জাতের ষাঁড়ের সিমেন সংগ্রহ করে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন।
- গবাদি পশুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়ন।
- দেশী জাতের গবাদিপশুর জেনেটিক মান উন্নয়ন।
- দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতির মেধাবিকাশে সহায়তা করা।
- আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে জনশক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন।
গরুর কৃত্রিম প্রজনন কে আবিষ্কার করেন এবং এর ইতিহাস
বহু প্রাচীনকাল থেকে আনুমানিক ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে আরব দেশে ঘোড়ার কৃত্রিম প্রজননের প্রচলন ছিল বলে জানা যায়। তবে, বৈজ্ঞনিক উপায়ে ১৭৮০ খ্রীষ্টাব্দে ইতালির বিজ্ঞানী Lazanno Spallanzani সর্বপ্রথম কুকুর ছানা উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে কৃত্রিম প্রজননের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে রাশিয়া ও জাপানে কৃত্রিম প্রজননের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। ১৯২৫-৩০ সালে রাশিয়ার দু’জন বিজ্ঞানী Kersine & Iwanoff গাভী ও ভেড়ীর উপর কৃত্রিম প্রজনন করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাদের প্রদর্শিত সেই পদ্ধতি আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রচলিত।
১৯৫৮ সালে বাংলাদেশের ঈশ্বরদী, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম পশুর কৃত্রিম প্রজনন প্রোগ্রামের সূচনা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬১-৬৯ সালে বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় গবাদি পশু প্রজনন ও দুগ্ধ খামার, সাভার, ঢাকায় অফিসিয়ালি কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম শুরু করে। তারপর দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে অষ্ট্রেলিয়ার একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১২৫টি ফ্রিজিয়ান ও জার্সি জাতের ষাঁড় অনুদান হিসেবে পায়।
পরবর্তীতে ১৯৭৫-৭৬ সালে “কৃত্রিম প্রজনন ও পশুখাদ্য উৎপাদন” প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে বৃহত্তর জেলাগুলোতে মোট ২২টি প্রজনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৮-৮৯ সালে হিমায়িত বীর্যের ব্যবহার শুরু করলে ১৯৯৫/৯৬ থেকে ১৯৯৯/২০০০ পর্যন্ত “কৃত্রিম প্রজনন ও পশুখাদ্য উৎপাদন” প্রকল্পের অধীনে দেশব্যাপী হিমায়িত বীর্য দ্বারা বিভিন্ন প্রজাতির পশুসহ গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির প্রসার ঘটে।
গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি / কৃত্রিম প্রজননের নিয়মাবলী
কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে ষাঁড়ের সিমেন বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। সংরক্ষিত সিমেন দ্বারা গরম হওয়া (হিটে আসা) গাভীকে সময়মত কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন করানো হয়। নিচে গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির নিয়মাবলী পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করা হলো:
- ডাকে আসা বা গরম হওয়া গাভী বা বকনাকে ট্রাবিস বা খাঁচার মধ্যে আবদ্ধ করতে হবে।
- গাভী বা বকনার যোনীদ্বার ও পার্শ্ববর্তী স্থান পরিস্কার করতে হবে।
- প্রজননকারীর হাত জীবাণুমুক্ত করে হাতে গ্লাভস পরতে হবে।
- গ্লাভস পরা হাত গাভীর লেজ তুলে মলদ্বারের ভিতর ঢুকাতে হবে।
- মলদ্বারে হাত ঢুকিয়ে যোনীপথ ও জরায়ুগ্রীবা খোলা কিনা অনুভব করতে হবে।
- যোনী পথের উপরের দেয়াল বরাবর অন্য হাত দ্বারা এআই(AI)গান প্রজনন অঙ্গে ঢুকাতে হবে।
- এআই গান ঢুকানোর সময় মুত্রনালীর মুখ দিয়ে যেন না ঢুকে সেদিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- মলদ্বারে প্রবিষ্ট হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল জরায়ুগ্রীবা বা সার্ভিক্সের মুখে রেখে অন্য হাত দিয়ে আস্তে আস্তে এআই গান জরায়ুগ্রীবার খোলা মুখের দিকে ঢুকাতে হয়।
- এআই গান জরায়ুগ্রীবার মধ্যে সহজভাবে প্রবেশ করলে বুঝতে হবে তৃতীয় রিং পার হয়েছে।
- তৃতীয় রিং পার হলে এআই গান পিছনে টেনে তৃতীয় রিংয়ের মাথায় স্থাপন করতে হবে।
- তারপর ধীরে ধীরে এআই গানের পিস্টনে চাপ দিয়ে সিমেন তৃতীয় রিংয়ের ভিতর প্রবেশ করাতে হবে।
- কোনোভাবেই এআই গানের পিস্টনে জোরে চাপ দেওয়া যাবে না।
- জরায়ুর খুব গভীরে সিমেন প্রবেশ করানো যাবে না। এতে গর্ভধারণের হার কমে যায়।
- সিমেন প্রবেশ করানোর পর পিষ্টনের উপর চাপ রেখেই এআই গান বের করে আনতে হবে। পিস্টনের চাপ ছেড়ে দিয়ে এআই গান বের করলে সাথে সিমেনও বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এআই গান থেকে এআই সীথ আলাদা করতে হবে এবং সিমেন স্ট্র বের করে ফেলতে হবে।
- স্ট্র বের করার পর স্ট্র এর গায়ে লিখা তথ্যাবলী নথিভূক্ত করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
- ব্যবহৃত এআই গান ও হ্যান্ড গ্লাভস্ পুনরায় ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে পরিস্কার করে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
কৃত্রিম প্রজনন ফলপ্রসূ না হওয়ার কারণ
সাধারণত নিম্নবর্ণিত চারটি কারণে গাভীর জরায়ুতে সিমেন প্রবেশ করানোর পরও গাভী গর্ভবতী হয় না কিংবা সিমেন পড়ে যায়।
ক্র. নং |
দায়ী বিষয়বস্তু |
কারণ |
০১. | সিমেন স্ট্র |
|
০২. | প্রজননকারী |
|
০৩. | গাভী |
|
০৪. | সিমেনের গুণাবলী |
|
কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা
বাংলাদেমের খামার ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম প্রজনন এক আশীর্বাদস্বরূপ। নিচে কৃত্রিম প্রজননের কতিপয়উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ লিপিবদ্ধ করা হলো:
- উন্নত জাতের ষাঁড়ের সিমেন দ্বারা অতি দ্রুত উন্নত জাতের গরুর বংশবৃদ্ধি করা যায়।
- একটি ষাঁড়ের একবারের সিমেন (বীর্য) দ্বারা ২০০-৬০০ গাভী প্রজনন করানো যায়।
- একটি ষাঁড়ের সারাজীবনের সংগৃহীত সিমেন দ্বারা প্রায় এক লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ গাভীর প্রজনন করানো সম্ভব।
- এ পদ্ধতিতে শুক্রানুর গুণাগুন পরীক্ষার মাধ্যমে অনুন্নত বীজ ও অপ্রয়োজনীয় বীজ পরিহার করা যায়।
- পশুর জন্মগত ও বংশগত রোগ বিস্তার প্রতিরোধ করা যায়।
- প্রজনন কাজে ব্যবহারের জন্য বাড়তি ষাঁড় পালনের প্রয়োজন হয় না।
- এ পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোন সময় যেকোন স্থানে গাভীর প্রজনন ক্রিয়া সম্পাদন করা যায়।
- এ পদ্ধতিতে কম খরচে অনেক বেশি গাভীকে প্রজনন করানো যায়।
- প্রাকৃতিক উপায়ে প্রজননের ফলে ষাঁড়ের মাধ্যমে গাভী ব্রুসোলোসিস, ভিব্রিওসিস, ট্রাইকোমনিয়াসিস ইত্যাদি মারাত্মক যৌনরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কৃত্রিম প্রজননের ফলে এসব মারাত্মক রোগ থেকে গাভীকে সুরক্ষা দেওয়া যায়।
- নির্বাচিত ষাঁড়ের সিমেন (বীর্য) দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনমত যেকোন সময় ব্যবহার করা যায়।
- বিদেশী জাতের ষাঁড় আমদানি অনেক ব্যয়বহুল। তাই বিদেশ থেকে উন্নত জাতের ষাঁড়ের পরিবর্তে অল্প খরচে সিমেন আমদানি করা যায়।
- উন্নত জাত কিন্তু সংগমে অক্ষম এমন জাতের ষাঁড় থেকেও সিমেন সংগ্রহ করেও প্রজনন করানো যায়।
- ষাঁড় ও গাভীর দৈহিক অসামঞ্জস্যতার কারণে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে প্রজননের সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
- যে সকল গাভী ষাঁড়কে উপরে উঠতে দেওয়া পছন্দ করে না সে সকল গাভীর জন্য কৃত্রিম প্রজননই উত্তম।
- ভিন্ন ভিন্ন জাতের গবাদি পশুর মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে সংকর জাত সৃষ্টি করা যায়।
কৃত্রিম প্রজননের অসুবিধা
বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজননে বেশ কিছু অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দুর্বল জিনোটাইপ, সীমিত ফিডের প্রাপ্যতা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পরিষেবা, কোল্ড চেইনের অভাব ইত্যাদি। কৃত্রিম প্রজননের হাজারো সুবিধার মধ্যে কিছু অসুবিধা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে পর্যাপ্ত শিক্ষা ও জ্ঞানের অভাব।
- গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীরা কৃত্রিম প্রজনন সম্পর্কে অজ্ঞ ও তাদের গাভীর মধ্যে এই পদ্ধতি প্রয়োগে অনীহা প্রকাশ করে।
- অজ্ঞতার কারণে অনেক খামারী মনে করে কৃত্রিম প্রজননের ফলে প্রসবকৃত বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়।
- কৃত্রিম প্রজননের ফলে পশুর ডিসটোকেয়ায় আক্রান্তের হার বেশি।
- ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অনেকে কৃত্রিম প্রজননকে অমানবিক মনে করে থাকে।
কৃত্রিম প্রজননের সীমাবদ্ধতা
নিম্নোক্ত সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ এখনও কৃত্রিম প্রজননে অনেক পিছয়ে আছে।
- সুষ্ঠু কৃত্রিম প্রজননে সিমেন সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য দক্ষ জনশক্তির অভাব।
- গাভীর সঠিক গরম হওয়া কাল নির্ণয়ে অপারগতা।
- কৃ্ত্রিম প্রজননের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সহজলভ্যতার অভাব।
- কৃত্রিম প্রজনন কাজে সহায়ক গবেষণাগারের স্বল্পতা।
- কৃত্রিম প্রজনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহজলভ্যতার অভাব।
- গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারীদের মধ্যে প্রচার-প্রসারণা অভাব।
লেখকের মন্তব্য
বর্তমানে সারা বিশ্বে গবাদি পশুর জাত উন্নয়নের জন্য কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি বহুলভাবে প্রচলিত। আমাদের দেশেও গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির বদৌলতে কম দুধের দেশী গাভী হতে অধিক দুধ ও মাংস উৎপাদনশীল সংকর জাতের গরু আজ অনেক কৃষকের ঘরে ঘরে। ফলে দেশে দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি মাংস উৎপাদনও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃত্রিম প্রজননের ফলে সাম্প্রতিককালে এতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অভূতপূর্ব গতির সূচনা হয়েছে।
গরুর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতির এই সফলতাকে প্রান্তিক পর্যায়ের সকল খামারীদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকেই রচিত হয়েছে এই আর্টিকেলটি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আর্টিকেলটি খামারীদের জন্য সহায়ক হবে। নির্ভরযোগ্য উৎস হতে রচিত এই আর্টিকেলে কোনো প্রকার সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন বিষয়ক যেকোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণযোগ্য। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে আপনার পরিচিত খামারী কিংবা খামার স্থাপনে আগ্রহীদের নিকট শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইলো।
তথ্যসূত্র: উকিপিডিয়া, agricare24.com, poultrydoctorsbd.com, এগ্রোবাংলা, ড. মাহবুব মোস্তফা রচিত আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন, ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, অধ্যাপক, এনিমেল হাজবেন্ড্রী এণ্ড ভেটেরিনারি সায়েন্স বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক রচিত এবং নূর পাবলিকেশন্স, বাংলাবাজার, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত “লাভজনক পশু পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” ও “গৃহপালিত পশু-পাখির রোগব্যাধি ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি” বই । খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে বই তিনটি আপনার সংরক্ষণে রাখতে পারেন। |
আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে MrDorpon কে আরও সমৃদ্ধ করতে সহযোগিতা করুন। আপনার মতামতটি রিভিউর পর Published করা হবে।
comment url